ক্রাইমবার্তা রিপোট:ফিরোজ হোসেন :সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ নেতা নিহতের ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের মা আমেনা খাতুন বাদি হয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ইতিমধ্যে সন্দেভাজন তিন জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, সদর উপজেলার দক্ষিণ চুপড়িয়া গ্রামের মাহফুজুর রহমানের ছেলে ইয়াকুব আলী (৫৯), একই উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের দিলদার রহমানের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪০) ও নারায়নজোল গ্রামের বাবর আলীর ছেলে ইমাম হোসেন (৩০)।
নিহত রাসেল কবির ওরফে কবির হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কুচপুকুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও আগরদাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই ৫ জনকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসা বাদ শেষে তিনজনকে এ মামলায় আটক দেখিয়ে বাকি দুইজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডি আইজি একরামুল হাবিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। যারা এ অপরাধের সংড়ে জড়িত তাদের বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা প্রাথমিক কিছু তথ্য পেয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়া হবে।
নিহত কবিরুলের চাচা নজরুজল ইসলাম জানান, কবিরুল সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকার রবিউল ইসলামের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবিরুল ইসলাম মোটরসাইকেলে করে বাইরে থেকে গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁর বাসার সামনে দাঁড়ানোর সঙ্গে তাঁকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি করে। তিনি গুলি লেগে পড়ে গেলে তারা আরও কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়। তাঁরা আরও জানান, স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদ বলেন, নিহত কবিরুলের শরীরে ডান হাতে, বুকে, গলায় ও মাথায় চারটি গুলি লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন।
কবিরুলের বাবা সিরাজুল ইসলাম আঁগড়দাড়ি ইউপি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তাঁকে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের বাড়ির ভেতরে দুর্বৃত্তরা গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
মা বাবার মুরছা যেতে যেতে জানান, এরআগে গুলি করেছিল। তখন বলেছিল নিজেরা নিজেরা বোম মেরেছে। তাদের পাশে কেউ নেই।
স্ত্রী জানান, মটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা গুলি করলে তার স্বামী মাটিতে পড়ে যায়। পরে সামনেই বুকে, গলায় ও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তার গায়ে চারটি গুলি করা হয়। ওই এলাকায় হত্যাকারীদের আটকে অভিযান চলছে। অচিরেই খুনীদেও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান সরকারি কলেজ এলাকায় নিহতের এ ঘটনা ঘটে।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিবারটির উপর কয়েকবার বিভিন্ন হামলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান,পরিবারটির পূর্বপুরুষদের মধ্যে জায়গা-জমি সহ বিভিন্ন কারণে শত্রুতা লেগে থাকত। নিহত রাসেল কবির ওরফে কবির হোসেনের পরিবার সমূহের মধ্যে ৫জন ইত্যোমধ্যে ,শন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে। বরাবরই ঘঁনার জন্য বিএনপি ,জামায়াত- শিবির নেতাকর্মীদের দায়ী করা হচ্ছে। প্রত্যেটি মামলায় বিএনপি ,জামায়াত- শিবির নেতাকর্মীদের দায়ী করে মামলা করা হয়েছে। তবে জামায়াতের এক নেতা জানান,পুলিশের উচিৎ প্রকৃত অপরাধীদের খুজে বের করে আইনের আওয়তায় আনা। নইলে খুনিরা বার বার পার পেয়ে যাবে। অন্য দিকে নিরিহ মানুষ যাতে হয়রানি না হয় সে দিকে প্রশাসনকে লক্ষ রাখতে হবে। –আবু সাইদ বিশ্বাস