ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণাদেব নাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। এরফলে তার বিরুদ্ধে নাইকো দুনীর্তি মামলা বিচারিক আদালতে চলতে বাধা কাটল।
আদালতে মওদুদ আহমদের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
গত ১ ডিসেম্বর শুধু ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম আট সপ্তাহ স্থগিত করেন বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে নাইকো মামলার বিচার কাজ চলছে। এ অবস্থায় ফৌজধারী কার্যবিধির দুইটি ধারায় আবেদন জানায় মওদুদ আহমেদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাইকোর যে আরপিটিশন মামলা চলছে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করেন বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য। একই সঙ্গে কিছু নথিপথ দাখিলেরও আবেদন করেন তিনি।
জানা গেছে, মামলা স্থগিত চেয়ে মওদুদের করা আবেদন গত বছরের ১৬ আগস্ট বিশেষ আদালত খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার প্রধান আসামি বিএনপি হলো বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা চলবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ০৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।