ক্রাইমবার্তা রিপোট:মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে তাঁর স্বজনেরা দেখা করেছেন। আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে চার স্বজন মুফতি হান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা হলেন- মুফতি হান্নানের বড় ভাই আলি উজ্জামান মুন্সি, মুফতি হান্নানের স্ত্রী জাকিয়া পারভিন রুমা, বড় মেয়ে নিশি খানম ও ছোট মেয়ে নাজরিন খানম।
কারাসূত্র জানায়, রাতেই স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মুফতি হান্নানের বড় ভাই স্ত্রী ও দুই মেয়ে কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশ্যে কোটালিপাড়া থেকে রওয়ানা দেন। ভোরে তারা গাজীপুরে এসে পৌছে কারাগারের আশপাশে এলাকায় অবস্থান নেন। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তারা কারাগারে প্রবেশ করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর মঙ্গলবার দুই জঙ্গির সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য তাদের স্বজনদের কাছে মঙ্গলবার বার্তা পাঠানো হয়। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত অপর জঙ্গি শরীফ শাহেদুল বিপুলের পরিবারের কোন সদস্য কারাগারে এসেননি।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, তাদের ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন আছে। তিনি বলেন কারাবিধি মোতাবেক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পাওয়া মাত্র ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারাগারে জল্লাদ ও ফাঁসির মঞ্চ সবকিছুই প্রস্তুত আছে।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। এ হামলা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি রয়েছেন।