ক্রাইমবার্তা রিপোট:সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে খালেদা জিয়ার বক্তব্য টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারে বাধা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বৃহস্পতিবাা বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জনবিচ্ছিন্ন পদক্ষেপে সরকারের মধ্যে সর্বদা আতংক বিরাজ করছে। আপনারা ‘সাংবাদিক’ দেখেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকাল সাড়ে চারটায় তার গুলশানস্থ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সাংবাদিক সম্মেলন শুরু হলে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে বেগম জিয়ার বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের শুরু করলেও সাথে সাথে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে গুরুত্বহীনভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে বা কোনো কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে তা সম্পূর্ণ ব্লাকআউট করা হয়েছে- বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, দেশের অনেক জাতীয় দৈনিকেও দেখা গেছে, বেগম জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যকে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করা হয়নি। গণমাধ্যমকে বেপরোয়ভাবে নিয়ন্ত্রনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারের ওপর অঘোষিত নির্মম সেন্সরশীপরে মাধ্যমে। সরকারের অপকর্ম ঢাকতেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর সরকারের উদ্ধত হস্তক্ষেপ চালায়- অভিযোগ তার।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, সরকারের আচরন স্বেচ্ছাচারি, অগণতান্ত্রিক ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের আরেকটি দৃষ্টান্ত। এতে একটা বিষয় পরিস্কার হয় যে, সরকার প্রধান ভারতে গিয়ে যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন তা দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী। নইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা দিতে সরকার এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠতোনা। সত্য প্রকাশ হওয়ার ভয়েই তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা দিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধাদানে জনমনে সন্দেহ আরো তীব্র হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী সত্যি সত্যি দেশবিরোধী চুক্তি করেছেন আর সেজন্যই তা লুকাতে রাস্ট্র শক্তিকে ব্যয় করে বিরোধী সমালোচনাকে স্তব্ধ করে দিতে চাচ্ছেন। গণবিরোধী সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপই কুৎসিত রুপ পরিগ্রহ করে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার দেশের মানুষের সকল অধিকার ভুলন্ঠিত করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার পর্যন্ত তারা হরণ করতে কুন্ঠাবোধ করছে না। তাদের হুকুম ছাড়া যেন দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট খবরও প্রকাশ না পায় সেজন্য গণমাধ্যমকে সরকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …