ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল ডাঙ্গীপাড়া টাঙ্গণ নদীর তীরে বুধবার সন্ধ্যায় চড়ক পুজার আয়োজন করা হয়। আর তা দেখতে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী চড়ক পুজা ও মেলা পুজার মূল আকর্ষণ চড়ক খুল্লি দেখতে আসে কয়েক হাজার নারী পুরুষ। জেলার রাজা পুকুর এলাকার লক্ষীন্দর (৩২) সন্যাসী পিঠে বড়শি গেঁথে শুন্যে ঘুরলেন। তাক লাগিয়ে দিলেন উপস্থিত সবাইকে। সন্যাসীর পিঠে ফোঁড়ানো হয় লোহার দুইটি বড়শি। বাঁশের এক প্রান্তে বড়শির সাথে রশি বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অপরপ্রান্তে রশি বেঁধে কয়েকজন যুবক তাকে চড়ক গাছের চারিদিকে ঘুরায়। শুন্যে ঘুরতে থাকে সন্যাসী, হাত তালি দিতে থাকে দর্শনার্থীরা। হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পুজা উদযাপন কমিটি নেকমরদ ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে মেলার প্রধান অতিথি ছিলেন ঠাকুরগাও-৩ সাংসদ অধ্যাপক মো. ইয়াসিন আলী। ৩০১ সাংসদ মোছা. সেলিনা জাহান লিটা, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল কাদের, ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক প্রমুখ
রাণীশংকৈলে ভিক্ষুক মুক্ত বিষয়ক আলোচনা সভা
মো. সেতাউর রহমান ॥ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা হলরুমে বুধবার বিকালে ভিক্ষুক মুক্ত রাণীশংকৈল গড়ার লক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. নাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে ঠাকুরগাও-৩ সাংসদ অধ্যাপক মো. ইয়াসিন আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তব্য রাখেন ৩০১ সাংসদ মোছা. সেলিনা জাহান লিটা, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আইনুল হক মাষ্টার, অধ্যক্ষ মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো. সইদুল হক প্রমুখ।
রাণীশংকৈলে অ-সহনীয় বিদ্যুৎ লোডশেডিং
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগায়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং সাধারণ মানুষের অসহনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে। গরম শুর হতেই শুরু হয়েছে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং । এছাড়াও বর্তমানে সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলায়ও চলছে এইচএসসি(সম-মানের) পরীক্ষা। বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে পরীক্ষার্থীরাও ঠিকমত পড়াশুনা করতে পারছে না। তারাও পড়েছে বিপাকে। অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী অফিস র্কায্যালয়ের কাজ কর্মেও হচ্ছে ব্যাপক সমস্যা। লোড শেডিং এর কারনে অফিস আদালতে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত জরুরী কাজ কাম সারতে প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে। এদিকে বোরো চাষিরা রয়েছে চরম বিপাকে। বিভিন্ন ফসলাদিতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারনে ঠিকমত পানি সেচ দিতে পারছে না। বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসে এর কোন গ্যারান্টি নেই। সম্প্রতি কালে দেখা যায়, সারা দিনে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ আসলেও এর স্থায়ীত্ব খুব স্বল্প সময়। প্রতিদিনেই ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যু গেলে আর আসার কোন নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকে না। এ প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল সাব-জোনালের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার এহতেসামুল হক বলেন, আমাদের উত্তরাঞ্চলের বিদ্র্যুৎ বিতরন কেন্দ্র বড়পুকুরিয়ার জেনারেশন সমস্যা হওয়ার কারনেই বিদ্যুতের এ সমস্যাটি হচ্ছে। উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষ লোড শেডিং সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। খুব শ্রীঘই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।