ক্রাইমবার্তা রিপোট: রাত পোহালেই নতুন একটি বছর বাংলা ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। বৈশাখ আমন্ত্রণে পুরোপুরি প্রস্তুত রমনার বটমূল। মঙ্গল শোভাযাত্রার সব প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়। গানে গানে বৈশাখ আবাহনে সুরে মুখরিত ছায়ানট। আয়োজকরা জানালেন সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কখনোই বাধা হতে পারবে না বর্ষবরণে।
পশ্চিম আকাশে চৈত্রর শেষ সূর্য আর কিছু সময় পরেই পুরানো বছর ১৪২৩ বঙ্গাব্দকে নিয়ে হারিয়ে যাবে মহাকালের গর্ভে। রাতের আধাঁর শেষে সূর্যদয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন বছর ১৪২৪। এ যেন পুরানো বছরের বিদায়ের সুরে নতুন বছরের আগমনী গান। আবাহমান কাল ধরে নববর্ষ বরণ এখন বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব। নতুন বছরের শুরুতে সকল অমঙ্গল বিনাশের প্রার্থনায় প্রতি বছরের মত এবারও চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। রঙবেরঙ্গের লোকজ ও ঐতিহ্য নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত আয়োজকরা।
আয়োজকরা জানান ,অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিবছর মঙ্গল শোভাযাত্রার পালন করেন। তারা জানান বর্ষবরণে বাধা হবে না সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এছাড়া ইউনেস্কো থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স¦ীকৃতি পাওয়ায় শোভাযাত্রায় এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা গর্ভেরও। ঐতিহ্যের এই যাত্রায় অংশ নিতে রয়েছে কিছু নির্দেশনাও। যত বাধা যত হুমকি আসুক না কেন আমরা সেটাকে জয় করতে পারবো।
শিল্পচার্য জয়নুল আবেদীনের পুত্র ময়নুল আবেদীন বলেন, দেশে দুর্ভিক্ষ নেই কিন্তু রুচির দুর্ভিক্ষ আছে আর এই দুর্ভিক্ষ থেকে কিছুটা লাগবের জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, যারা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে চান তারা সকাল ৯ টার মধ্যে নির্ধারিত জায়গায় থাকবেন। চারুকলার সামনে থেকে বের হয়ে রূপসী বাংলা দিয়ে ঘুরে টিএসসি মোড় পর্যন্ত এসে আবার চারুকলার এখানে আসবে।
বৈশাখ বরণ হবে গানের আমন্ত্রণে ছায়ানটে চলছে বিরামহীন অনুশীলন। রমনার বটমূলে ছায়ানটের উদ্যোগে বর্ষবরণ এবার পা রাখছে ৫০ বছরে। গৌরবের ৫০ তাই অন্যরকম মাত্রা যোগ করেছে আয়োজনে।
ছায়ানটের নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিক বেলার বলেন, এটা অনেক বড় একটা প্রাপ্তি যে এই উৎসব এখন ৫০ বছর হয়েছে এবং জাতীয় পর্যায়ে চলে গেছে।
পুরোনো বছরে সকল দুঃখ, জরা, ক্লান্তি, গ্লানি ভুলিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিনাশের স্বপ্ন দেখায় পহেলা বৈশাখ। সকল সংকটকে পাশ কাটিয়ে একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বির্নিমাণের প্রত্যয় জোগানো বৈশাখ আবারো হাজির বাংলার দোরগোড়ায়। রাত পোহালেই বাঙ্গালীজাতি মেতে উঠবে স্বার্বজনীন এই উৎসব বরণে। রমনার এই বটমূলে গাওয়া হবে বৈশাখের গান। আবাহন করা হবে বৈশাখকে। বেজে উঠবে সুর এসো হে বৈশাখ এসো এসো।