আফগানিস্তানে ফেলা বোমাটি তৈরি হয়েছিল ইরাকের জন্য

ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :বলা হচ্ছে এটি আসলে মাদার অফ অল বোম্বস। বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো এ বোমার ব্যবহার করলো যুক্তরাষ্ট্র, যার টার্গেট ছিল আফগানিস্তানের একটি এলাকা। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সেটি ইসলামিক স্টেটের একটি ঘাঁটি।
কিন্তু কেন এ বোমাকে সামরিক পরিভাষায় মাদার অফ অল বোম্বস বলা হচ্ছে? এর বিশেষত্বই বা কী?
প্রথমত, এ বোমাটি যত ধরনের বোমা (পরমাণু বোমা ছাড়া) এ যাবতকাল ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়, যা লম্বায় ৩০ ফুট বা ৯ মিটার।

 

৯ হাজার ৮০০ কেজি ওজনের এ বোমাটি আসলে তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো ইরাক যুদ্ধকে সামনে রেখে, যদিও সে যুদ্ধে এ বোমা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের।
আর ভয়াবহতার দিক থেকেও এ বোমাটি ভয়ংকর। কারণ এক মাইল এলাকার মধ্যে যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর এটি ১৮ হাজার পাউন্ড টিএনটি ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।
অনেকটা কলম আকৃতির বোমাটির সামনের দিকটি ধারালো আর দুটো পাখাও রয়েছে এর শরীরে।

ফ্লোরিডায় এগলিন বিমান ঘাটিতে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করার দৃশ্য
আর বাইরের দিকটা অ্যালুমিনিয়ামে মোড়ানো যা বিস্ফোরণের মাত্রাকে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে।
ভূমিতে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে সক্ষম এ বোমাটি, এমনটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার বা টানেলকেও ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিতে পারে মুহূর্তের মধ্যেই।
একেকটি এ ধরনের বোমা তৈরির জন্য ব্যয় হয় প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার।
এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করতে সক্ষম।
আলবামাভিত্তিক অ্যারোনটিকস কোম্পানি ডায়নেটিকসর তৈরি করা বোমাটির প্রথম পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল ২০০৩ সালে ফ্লোরিডায়।
তবে পারমানবিক উপাদান না থাকায় প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ছাড়াই এ বোমা ব্যবহার করতে পারে সামরিক কর্তৃপক্ষ। বিবিসি বাংলা

 

Check Also

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।