পরিবারের সম্মানরক্ষায় এক কিশোরের ওপর নৃশংস অত্যাচার চালাল এক কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। ওই কিশোরের যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়েছে, উপড়ে নেওয়া হয়েছে চোখ। নিগৃহীত কিশোরের বয়স ১৫ বছর। সে নবম শ্রেণীর ছাত্র। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে।
ওই কিশোরের সঙ্গে তাদের মেয়ের প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহ করে এই অত্যাচার চালায় কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সেই কিশোরের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। তবে সে চিরতরে দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেছে। তবে কোনওমতে তার প্রাণ বাঁচাতে পেরেছেন চিকিৎসকরা।
গত মঙ্গলবার ওই কিশোরের পরিবারের লোকজন লাহোর শহরের রাইউইন্ড এলাকায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পর ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে।
কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে স্কুল থেকে ফেরার পথে ওই কিশোরকে অপহরণ করা হয়। রাভি নদীর কাছে একটি পরিত্যক্ত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথমে তাকে মারধর করা হয়। পরে তার চোখ উপড়ে যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কিশোরকে দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।
কিশোরের বাবা আরও অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তানের শাসক দলের এক জনপ্রতিনিধি অভিযুক্তকে মদত দিচ্ছেন। যদিও পাঁচ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের