ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :চীনকে ঘিরে রয়েছে য্ক্তুরাষ্ট্রের ৪’শ সামরিক ঘাঁটি, সেনাদল, ড্রোনের সারি ও পারমাণবিক বোমা। চীনের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র একেবারে নিখুঁত ফাঁসির দড়ি প্রস্তুত করে রেখেছে। তার মানে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সম্ভাবনা বাস্তব হয়েই দেখা দিচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের যে রেষারেষি চলছে তার পাশাপাশি উভয় পক্ষ বিশাল সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুধু জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি থেকে চীনে দেড় হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’এর সঙ্গে উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে সমস্যা নিরসনে এক সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন।
কিন্তু নতুন এক বোমা ফাঁটানো তথ্যে দেখা যাচ্ছে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাস্তবতা হয়েই রয়েছে। একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক জন পেইজার তার নতুন তথ্যচিত্র ‘দি কামিং ওয়ার অন চায়না’তে বলছেন, চীনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ৪’শ সামরিক ঘাঁটি সহ অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র, নৌ শক্তি, পারমাণবিক বোমা ও ড্রোন প্রস্তুত রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরে যে সামরিক শক্তিবৃদ্ধি করেছে তা আদতে একটি ফাঁসির রজ্জুর মত চীনকে ঘিরে রেখেছে। হোয়াইট হাউস যাকে বিবেচনা করছে ‘নিখুঁত শত্রু’ হিসেবে। জন পেইজার এও বলছেন, দুটি দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা তৃতীয় যুদ্ধ ঘটানোর জন্যে বাস্তবতা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এসব ঘাঁটি একেবারে চীনের দোড়গোড়ায়, ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত, নৌ সমর দল ও পারমাণবিক বোমা ও ড্রোনের আওতায়। চীনের জলসীমার একেবারে কাছেই টহল দিচ্ছে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ।
১৬ এপ্রিল জন পেইজারের এ তথ্যচিত্রটি সম্প্রচার হওয়ার আগে তিনি বলেন, সমালোচিত এমন বিষয় কিন্তু তা নিয়ে মানুষের ধারাবাহিক ধারণাকে পরিস্কার করার জন্যেই এধরনের তথ্যচিত্রের উপস্থাপনা করছি। তিনি বলেন, বিষয়টি জটিল এ কারণেই যে এক আশ্চর্য ও বিপদজনক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বের বড় সামরিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও অর্থনৈতিক শক্তির দেশ চীনের মধ্যে। গত কয়েক বছরে উত্তেজনা, হুমকি,দ্বন্দ্ব ও অবিশ্বাস দুটি দেশের মধ্যে প্রবল এক অনাস্থার জন্ম দিয়েছে যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিপদজনকভাবেই বাস্তবে রুপ পেতে পারে। এবং উভয় দেশই পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দোষারোপ করে পেইজার বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উত্তেজনা প্রশমনের কোনো চেষ্টাই দেখা যায়নি ফলে এ বিষয়টি দুটি দেশের মধ্যে বিতর্কের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন পারমাণবিক যুদ্ধ আর অবাস্তব মনে হচ্ছে না। ডেইলি স্টার ইউকে