ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:নিরাপত্তার নামে মানুষকে হেনস্থার চরম পর্যায়ে চলে গেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সামান্য ভুলে এবার তিন মাসের শিশুকেই জঙ্গি ভেবে বসল তারা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল দূতাবাসে। ব্রিটেনের পয়ন্টনে ঘটেছে এই ঘটনা।
তিন মাসের নাতি হার্ভি কেনিয়ন কেয়ার্নস ও গোটা পরিবারকে নিয়ে প্রথমবার বিদেশ ঘুরতে যাচ্ছিলেন পল কেনিয়ন। বেড়াবার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাকে বেছে নিয়েছিলেন। সেই মতো লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসে আবেদনপত্র জমা দেন। তাতে ‘অতীতে নাশকতামূলক কাজকর্মে যুক্ত ছিলেন কিনা এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে আছে কিনা’ বলে একটি আলাদা বিভাগ ছিল। ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’–এর পাশে টিক দিতে হতো।
পরিবারের সকলের ফর্ম ঠিকঠাক পূরণ করলেও, হার্ভির বেলায় ভুল করে ফেলেন পল কেনিয়ন। ভুলবশত ‘হ্যাঁ’–এর পাশে টিক দিয়ে দেন তিনি। আবেদনপত্র জমা দিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু রওনা দেওয়ার তিন দিন আগে হার্ভির আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বরং নাশকতামূলক কাজকর্মে যুক্ত থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের করতে ডেকে পাঠায় মার্কিন দূতাবাস।
সামান্য ভুলের এমন মাসুল গুণতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি ৬২ বছরের পল কেনিয়ন। মেয়ে ও ছোট্ট নাতিকে নিয়ে লন্ডনের মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পয়ন্টন থেকে লন্ডন যেতে আসতে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। ম্যাঞ্চেস্টার–ফ্লোরিডার তুলনায় যা আধ ঘণ্টা বেশি। দীর্ঘ পর্যালোচনার পর আমেরিকা যাওয়ার অনুমতি দিতে রাজি হয় মার্কিন দূতাবাস।
গোটা পরিবার রওনা দেওয়ার কয়েক দিন পর মায়ের সঙ্গে ফ্লোরিডা পৌঁছয় হার্ভি। পল কেনিয়ন জানিয়েছেন, “মার্কিন দূতাবাসে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় একটুও দুষ্টুমি করেনি হার্ভি। কয়েকটা ন্যাপি নষ্ট করেছে মাত্র। ”
সূত্রঃ আজকাল।