ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের অবহেলার কারণে কারাগারটি আজো সংস্কার করা হয়নি। দেশে উপজেলা ভিত্তিক ২৫টি কারাগার বর্তমানে ব্যবহার অযোগ্য থাকায় সরকার সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরকে অনূষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করেন। ধারাবাহিকতায় উপজেলা কারাগারটি ব্যবহার অযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় তা সংস্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে সরকারিভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ইউএনও বিষয়টি আমলে না নেওয়ার কারনে আদেশ নামাটি ফাইল বন্দি থাকায় জেলখানার সংস্কার কাজ হয়নি।
গ্রাম বাংলার মানুষের কথা ভেবে এরশাদ সরকারের সময়ে উপজেলা ভিক্তিক কারাগার নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তনের ফলে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে স্থানান্তর করা হলে পড়ে থাকে উপজেলা কারাগার গুলি। এ কারণে ২০০৩ সালে সরকার দেশের ২৫টি উপজেলা কারাগার সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরকে অনূষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করার আদেশ প্রদান করে চিঠি দেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা ইউএনও’দের। আদেশের কারণে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ২০০৩ সালে আগষ্ঠ মাসে শিক্ষা কর্মকর্তা কে আহবায়ক করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে মহিলা বিষয়ক দপ্তরকে অফিস ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে চালানোর জন্য করাগারটি হস্তান্তর করেন। সে-সময় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়টি জরাজীর্ণ ঐ কারাগারে দীর্ঘ ১ বছর কার্যক্রম চালান হয়। ভবনটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সংস্কারের অভাবে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে ভাড়াটিয়া ভবনে অফিসিয়াল কাজ পরিচালিত হয়ে আসছে। আর এ কারাগারটি সংস্কারের করার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ২১৬ নং স্মারকে (৩-৯-১৫ তারিখে ) ৩৩ শতক জমি নির্বাচন করে জমির সার্বিক অবস্থা, যাতায়াত সুবিধা, স্থানীয় নকশা, ডিজিটাল সার্ভে ম্যাপ তৈরি করার জন্য বর্তমান উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসানকে অফিস আদেশ প্রদান করেন। তিনি ২১-১০-১৫ তারিখে আদেশের চিঠিটি গ্রহণ করেন। চাহিদা মোতাবেক সময় মতো তিনি রিপোর্ট প্রেরণ না করে দাপ্তরিক কাজে ফাঁকির বিষয়টি প্রতিয়মান। ইতিপুর্বেও কাজের প্রতি দায়িত্বহীনতার প্রমান মিলেছে। এ কারণেই অন্যান্য উপজেলায় সংস্কার কাজ শুরু হলেও রাণীশংকৈলের কারাগারের সংস্কারের কাজ আজো শুরু হয়নি । ফলে এ উপজেলার উন্নয়ন মূলক কাজ যেমনি ভাবে ব্যাহত হচ্ছে অপরদিকে ভাড়া দিয়ে অফিস চালাতে হচ্ছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে। এ প্রসঙ্গে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোর্শেদ আলী খানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি এবিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারবো না। তবে কর্মজীবি মহিলা হোষ্টেল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কারাগারে স্থাপন করা হবে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান জানান মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের চিঠিটা দেখতে হবে। তাছাড়া কিছু বলা যাবে না।