ক্রাইমবার্তা রিপোট:ভরণ-পোষণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাবা-মায়ের কাছ থেকে সম্পত্তি লিখে নেয়ার পর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া পাচু সরদার (৭৫) ও তার স্ত্রী জহুরা বেগম (৬৫)-এর পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের চেয়ারম্যান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামে যান। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে কাছে পেয়ে বৃদ্ধ দম্পতি পাচু সরদার ও জহুরা বেগম আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।এক পর্যায়ে তারা তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এসময় কাদের সিদ্দিকী তাদের সান্তনা দিয়ে বলেন, ‘আজ থেকে আপনাদের সকল দায়িত্ব আমি নিলাম। যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন আপনাদের সকল দায়িত্ব আমার।’
পাচু সরদার ও জহুরা বেগমকে অভয় দিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, এখন থেকে কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের জন্য সবই করবো।
কাদের সিদ্দিকী এসময় জহরা বেগমের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা, শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, পাঞ্জাবি, মিষ্টি তুলে দেন।
তিনি ঘোষণা করেন, ‘আমি যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন প্রতি মাসে আপনাদের তিন হাজার টাকা করে দিয়ে যাব।’
তার এমন ঘোষণায় জহুরা বেগম ও পাচু সরদার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের কাদের সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান সমাজে এ রকম ঘটনা অহরহ ঘটেই চলেছে। কোনটি মিডিয়ায় আসছে, কোনটি আসছে না। এমন ঘটনার প্রতিবাদ কিংবা বিচার হলে বাবা-মাকে আর অবহেলা করার সুযোগ কোনো সন্তান পাবে না।
এসময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে তার দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতীক ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভরণপোষণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মা-বাবার কাছ থেকে সম্পত্তি লিখে নেবার পর তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া এবং ভরণপোষণ না দেবার অভিযোগ এনে ছেলে সেলিম সিকদার মধুর বিরুদ্ধে মামলা করেন তার মা জহুরা বেগম। গত ১৭ এপ্রিল ফরিদপুরের ৪নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক মো. সুমন হোসেন আগামী ২৩ মে ছেলে সেলিম সিকদার মধুকে (৩৫) আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন।
বর্তমানে পাচু সরদার ও জহুরা বেগম তার মেয়ের বাড়িতে থাকছেন।