ক্রাইমবার্তা রিপোট:শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলার শৌলপাড়া, জয়নগর ও মুলনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার গঙ্গানগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ওই কোন্দলের জের ধরে দুই গ্রুপের লোকজন শনিবার সকালে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে দুই গ্রুপের ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- দিপু কাজী, শাহনাজ কাজী, সোহাগ মুন্সি, খালেক সিকদার, সজিব মিয়া, সৈকত মুন্সি, সোরহাব কাজী, মন্নান কাজী, বাবুল মুন্সি, সায়েদ কাজী ও শহীদুল ইসলাম মাদবর।
গুলিবিদ্ধদের জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দিপু কাজীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ মন্নান কাজীর অভিযোগ, মিথুন ঢালী ও তার ভাই সুজন ঢালীসহ অপরিচিত কয়েকজন মিলে তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
মিন্টু কাজীর বড় ভাই বাবলু কাজী বলেন, ‘মিথুন ঢালী তার সমর্থকদের নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় মিথুন ঢালী প্রকাশ্যে সর্টগান দিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর গুলি চালায়। এতে আমাদের ১১জন গুলিবিদ্ধ হন।’
তবে গুলির ঘটনা অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা মিথুন ঢালী বলেন, ‘মিন্টুর নির্দেশে তার লোকজন আমার লোকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমার লোকজন আহত হয়েছে। কিন্তু উল্টো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সম্মান ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।’
এদিকে ঘটনার পর এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জাজিরা থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।