ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানালেন একদল যুবক। শুক্রবার এই অভিনব প্রতিবাদের স্বাক্ষী হল উত্তর-পূর্ব ভারত। ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে, তারই প্রতিবাদে শুক্রবার আসামের উপজাতি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা বিবস্ত হয়ে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ভারতে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই নরেন্দ্র মোদি সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন নিয়ে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগে একদিকে যেমন একাংশ জনগণ খুশি, অন্যদিকে আরও একাংশ লোক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন উপজাতি এলাকায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে।
গত শুক্রবার আসামের কার্বি আংলং জেলার ডিফুতে এই নগ্ন প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেছেন জেলার চব্বিশটি ছাত্র ও সামাজিক সংস্থার নেতারা।
এদিন দুপুরে এই প্রতিবাদী মিছিল ডিফু শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ ব্যাপারে ‘কার্বি আংলং স্টুডেন্ট ইউনিয়নের” উপ সভাপতি আর টেরন ‘আমাদের অর্থনীতিকে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ‘কার্বি আংলং স্বায়ত্ত্বশাসিত পরিষদের” ভোটার তালিকা থেকে অনুউপজাতি লোকেদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে সরকার ও প্রশাসনকে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কেউ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা নগ্ন হয়ে রাজপথে নেমেছি।
তিনি আরও জানান, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে গুরুত্ব না দেওয়ায় কার্বি আংলং জেলার বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভূমিপুত্রদের হাত থেকে সব সাংবিধানিক ক্ষমতা ক্রমশ বহিরাগতদের হাতে চলে যাচ্ছে।
উল্লেেখ্য, কার্বি আংলঙে বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করেন। পাশাপাশি বাঙালি, বিহারি, মুসলিম, মাড়োয়ারি সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের লোক স্থায়ীভাবেই বসবাস করছেন। তাঁদের সংখ্যাটাও মন্দ নয়। উপজাতি লোকেদের সঙ্গে অনুপজাতি লোকেদের নামও রয়েছে ভোটার তালিকায়। তাই অনুপজাতি সম্প্রদায়ের লোকেদের সংখ্যা কম হলেও কিন্তু নির্বাচনের সময় তাঁরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এতেই দেখা দিয়েছে মূল সমস্যা। তাই দীর্ঘদিন থেকে কার্বি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন জানিয়ে আসছিল, ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য। কিন্তু মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাঁরা এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ হাতে নেননি। তাই শুক্রবার অবশেষে তাঁরা নগ্ন হয়ে রাজপথে নামলেন। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
Check Also
স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় রিকশা চালালেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার
ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ! ভাবতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি তেমনি এক ঘটনা …