ক্রাইমবার্তা রিপোট:নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীকে হত্যার দায়ে তিন বছরের সাজা পাওয়া স্ত্রী জেসমিন আক্তার (মধ্যে)। ছবি : ফোকাস বাংলা
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (২২) তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম এই আদেশ দেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া জেসমিন বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের লোকমান ফকিরের মেয়ে। স্ত্রীর হাতে নিহত সেলিম হোসেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিউকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০০৮ সালে সেলিম হোসেনের সঙ্গে জেসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জেসমিন জানতে পারেন, সেলিম হোসেন নেশাগ্রস্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতে সেলিম হোসেন চালসহ পরিবারের বিভিন্ন জিনিস স্ত্রীর অগোচরে বিক্রি করতেন। এ নিয়ে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ হতো। ২০১৪ সালের ১৭ জুন বিকেলে সেলিম হোসেন ঘরে থাকা চাল বিক্রি করে নেশার টাকা দিতে বললে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর রাগান্বিত হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান সেলিম হোসেন। পরের দিন ভোরে সেলিম বাড়ি ফিরে এলে স্ত্রী জেসমিনের সঙ্গে আবারও বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ঘাস কাটার হাসুয়া দিয়ে সেলিমকে কোপ দেন জেসমিন। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সেলিম। এ সময় প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে ওই বাড়িতে ছুটে গিয়ে সেলিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সেলিমের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় সেলিম হোসেনের মা শানু বেগম বাদী হয়ে জেসমিনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আজ এই রায় দেন। রায় ঘোষণা শেষে জেসমিনকে নাটোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।