স্টাফ রিপোর্টার | ২৬ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ৮:০৩
কোনো দেশে প্রধান বিচারপতিরা ‘প্রকাশ্যে এত কথা বলেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ‘কোনো কষ্ট থাকলে’ তা নির্বাহী বিভাগকে জানানোর জন্য প্রধান আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে সবিনয়ে এবং মাননীয় প্রধান বিচারপতির প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল হয়ে বলব, আপনারা অনেক উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ দেখেছেন, আপনারা প্রতিবেশী দেশও দেখেছেন। কোনো দেশে বিচারকাজ ছাড়া মাননীয় প্রধান বিচারপতিরা এত উষ্মা, এত কথা পাবলিকলি বলেন না।
আনিসুল হক বলেন, আমার কথা হচ্ছে, নিশ্চয়ই উনি প্রয়োজনে বলেন, আমি এটা অস্বীকার করি না। কিন্তু উনি এই সব কথাগুলি, উনার যদি কোনো দুঃখ কষ্ট থেকে থাকে, এই সব কথাগুলি যদি উনি পাবলিকলি না বলে আমাদেরকে জানান, তাহলে আমরা হয়ত সেগুলো সুরাহা করার চেষ্টা করতে পারি।
গতকাল প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘প্রশাসন বিচার বিভাগকে স্বাধীন হতে দিতে চায় না। বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের সঙ্কটটা আসলে কোথায়?’
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান দিবস উপলক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন আইনমন্ত্রী। সেখানেই এক সাংবাদিক প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চান। জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতিকে তিনি অত্যন্ত সম্মান করেন। প্রধান বিচারপতি যদি তার ওই বক্তব্যের কারণটা বলতেন, তাহলে অনেক সুবিধা হত।
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
সাইফুল ইসলাম
২৬ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ৪:৪১
মৌলভীবাজারের আসনটি উনাকে বরাদ্ব দিলেইতো হয়ে যায়।
alam
২৬ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ৬:৩৭
মৌলভীবাজারের আসনটি উনাকে বরাদ্ব দিলেইতো হয়ে যায়।
সেলিম জামান
২৬ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ৬:৪৭
পাবলিকলি বলার কারনে বিচার বিভাগ পর্যায়ক্রমে স্বাধীন হচ্ছে। সরকার সরাসরি সরকারকে বিভিন্ন ভাবে বলে আসছিলেন। কিন্তু সরকার বিরোধী দলকে নাজে হাল করার উদ্দেশ্যে নিম্ন আদালতকে হাত ছাড়া করতে চান না। নিম্ন আদালতে বিচারকরা কখন নাজানি খাগড়াছড়ি বদলি হবেন ভয়ে সরকারের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বা ব্যাক্তি স্বার্থের লিপ্সা জুলিয়ে রাখছেন। বদলি করবে উচ্চ আদালত। সরকার তা সম্পূর্ণ ক্ষমতা হাতছাড়া করতে চান না। চামচারা হাওরের মাছের হিসাব কড়ায় গন্ডায় করেন তেমন আইন মন্ত্রনালয় কৌশলে ছোট রশি হাতে রেখে স্বাধীন করে দিতে চান।