ক্রাইমবার্তা রিপোট:ফিরোজ হোসেন ঃ সদর উপজেলার গোয়ালপোতাই এখন সর্বত্রই মাদক দ্রব্যের ছড়াছড়ি। গ্রামটি এখন মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় এ নেশাদ্রব্য। এলাকার কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রামটিতে মাদক দ্রব্য সরবরাহ করে এলাকার যুব সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে। স্কুল- কলেজগামী অনেক ছাত্র এখন নিয়মিত মাদকে জড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য বয়সিরাও দিন দিন ঝুঁকে পড়ছে মাদক দ্রব্যের দিকে। গাঁজা, মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবা, নেশাদ্রব্য গুলো হর হামেশয় পাওয়া যায় গ্রামটিতে। গ্রামের সাধারণ মানুষেরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মাদক সেবিদের উচ্ছশৃঙ্খল কর্মকান্ডে। নেশার টাকা জোগাতে তারা এখন বিভিন্ন সমাজ বিরোধী কাজে লিপ্ত হচ্ছে। সন্ধ্যা হতেই শুরু হয় স্থানীয় ও বহিরাগত মাদক সেবিদের আনাগোনা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক সেবি ও মাদক ব্যবসায়ীদের নেশাদ্রব্য সেবনের রমরমা আসর। এলাকাবাসির অভিযোগ, সন্ধ্যার সাথে সাথে এলাকার কয়েকটি জায়গাই মাদক সেবি, মাদক ব্যবসায়ীদের অবাদ বিচরণ লক্ষ করা যায়। গোয়ালপোতা হাইস্কুলের নিজ তলার বারান্দা, স্কুলের পিছনে, প্রাইমারি স্কুলের পিছনে বাগানে। বুড়–নি গোয়ালপোতা ব্রীজের উপর, গম ঘেরের টোং ঘরসহ আরো কয়েকটি স্থানে মাদকসেবিদের কর্মকান্ড চলে। তাদের অভিযোগ, এলাকার অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া একটা ছেলে সাতক্ষীরা শহর থেকে এ মাদক দ্রব্য এলাকায় সরবরাহ করে। অল্প বয়সী ছেলে মাদক পরিবহন করাই প্রশাসনকে সহজে তারা ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। স্কুল চলাকালিন সময়ে ক্লাসের ভিতর গাঁজা খাওয়ার অপরাধে সহপার্টিদের কাছে মারধর খাওয়ার পর থেকে ইদানিং যাওয়ার অপরাধে সহপার্টিদের কাছে মারধর যাওয়ার পর থেকে ইদানিং স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। স্কুলে অন্য সহপার্টিদের নেশাদ্রব্য সেবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে। ইতোমধ্যে স্কুলের প্রায় ২০/২৫ জন ছাত্র নেশাদ্রব্য সেবনে জড়িয়ে পড়েছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ করেছেন।
২৬.০৪.২০১৭
Check Also
আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন করা …