স্টাফ রিপোর্টার | ২৮ এপ্রিল ২০১৭, শুক্রবার, ৯:৪২
প্রবীণ উপন্যাসিক কাসেম বিন আবু বাকার। ইসলামি উপন্যাস লেখার মাধ্যমে যিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। অবশ্য মূলধারার বাইরে লেখালেখির কারণে তার পরিচিতি একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে। যে কারণে দেশীয় মিডিয়ায় সবসময় উপেক্ষিত ছিলেন। সম্প্রতি এএফপি তার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ, মধ্যপ্রাচ্যের আরব নিউজ, মালয়েশিয়ার দ্য স্টার ও মালয়মেইল, পাকিস্তানের দ্য ডন, ফ্রান্সের ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর ও রেডিও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল, হাঙ্গেরির হাঙ্গেরি টুডেসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ফলাও করে কাসেমকে নিয়ে ওই প্রতিবেদন ছেপেছে। এএফপি’র
বরাত দিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া সে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে তোলপাড়। নিজের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে কাসেম বিন আবু বাকার বলেন, মেয়েরা আমাকে নিজেদের রক্ত দিয়ে লেখা চিঠি পাঠায়। অনেকে আবার আমাকে বিয়ে করার জন্য পাগল। কিন্তু একসময় নিজের উপন্যাস ছাপাতে প্রকাশকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে এ লেখককে।
বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের খবরের লিংক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। তার লেখনির পক্ষে-বিপক্ষে নানা রকম মন্তব্য করেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। অসিউর রহমান নামের একজন লিখেছেন, কাসেম বিন আবু বাকারের ‘ফুটন্ত গোলাপ’ পড়া আরম্ভ করেছি। ৪০ পৃষ্ঠার পর আগ্রহ পাচ্ছি না। কিন্তু এটুকু পর্যন্ত দেখলাম তার নায়িকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে, যে তার ছেলে হারানো বাবা-মাকে চাকরি করে দেখভালের প্রমিস করছে। ধনীর ঘরের দুলালের প্রেম-ভালোবাসার কথাগুলোকে আইডিওলজিক্যাল গ্রাউন্ড থেকে বিচার করছে এবং জড়তা ছাড়াই যৌন ইস্যুগুলো ডিল করছে! লেখকের ধর্ম, বর্ণ এবং সামাজিক শ্রেণি পরিচয়ের প্রতি নির্দিষ্ট ঘৃণা ধারণ না করলে একটি স্ট্রং ফিমেইল ক্যারেক্টার তৈরির জন্য ফেমিনিস্টরা কেন এ লেখককে সাধুবাদ দেবে না তা আমার মাথায় আসে না!
যুথিকা জাকারিয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আজ ফেবু কাসেম ময়!! যারা কাসেম বিন আবু বাকার নামের এক বাংলাদেশি তথাকথিত ডাকসাইটে লেখককে নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন তাদের কাণ্ড দেখে হাসতেও করুণা হচ্ছে। বস্তুত তারা এর লেখার পাঠক নন, এদের সমালোচনায় তা-ই তার কিচ্ছু আসে যায় না। যার বইয়ের ত্রিশতম সংস্করণ বেরোয়, বিক্রি দুই লাখ ছাপিয়ে যায় স্রেফ একটা বইয়ের তিনি যে ব্যবসা বোঝেন এটা স্পষ্ট। আর হ্যাঁ, কাসেম বিন আবু বাকার লেখক হিসেবে সাহিত্যবোদ্ধাদের কাছে যেমনই হোন তিনি বাংলাদেশের পাঠকদের একটা বড় অংশের মন বুঝতে সক্ষম। আর তা-ই তাকে সফল বলতে আমার বাঁধছে না। হায়, বাকি যারা নিজেদের তথাকথিত সুশীল আর প্রগতিশীল বলেন, তারা যদি লোকের মন এভাবে বুঝতেন তবে তো হতোই!!
আবিদ আল আহসান নামে অপর একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এই লোকটার নাম কাসেম বিন আবু বকর। পরিচয় দিতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় ইনি একজন মোল্লা। এ মোল্লা হওয়ার জন্যই তাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তবে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকলেও এ লোকটা একজন বিখ্যাত লেখক। যেটা আমরা উপলব্ধি না করলেও বিশ্বমিডিয়া তা উপলব্ধি করতে পেরেছে। এই লোকটির একটি উপন্যাস দুই বাংলা মিলে চার লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। যেটা হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের ক্ষেত্রেও হয়নি। একটা সময় মানুষ উপন্যাস বলতেই কাসেম বিন আবু বকরকে চিনত। পরবর্তীতে ‘মোল্লা’ হিসেবে কালের আবর্তে ও হলুদ মিডিয়ার কারসাজিতে ঢাকা পড়ে গেলেও তিনি এখনকার সময়ে আন্তর্জাতিকভাবে ঠিকই উঠে এসেছেন।
কাসেম বিন আবু বাকারের উপন্যাসের সমালোচনাও করেছেন অনেকে। ব্রাত্য রাইসু লিখেছেন, কাসেম বিন আবু বাকারের সমস্যা এই যে তিনি বাঙালি জনগোষ্ঠীর মুসলমান অংশের লেখক। বাংলায় হিন্দু বা খ্রিস্টানদের মধ্যে এরকম সমস্যাযুক্ত লেখক কে কে আছেন?
রবীন্দ্রনাথ কি বেসিক্যালি হিন্দুদের লেখক নন? তো তার হিন্দুবাদী লেখারে সমালোচনা করা গেলে কাসেমের মুসলমানবাদী অবস্থানরে কেন সমালোচনা করা যাবে না? লেখকরা সকলের নন, সে ঠিক আছে। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর লেখকরে তার জনগোষ্ঠীর আলোকেই বিচার করতে হবে।
আমি এই ধরনের লেখকদেরকে কূপমণ্ডুক বলতে রাজি আছি।
মাসুদা ভাট্টি লিখেছেন, এবার হয়তো কাসেম বিন আবু বক্কর হওয়ার জোর চেষ্টা চালাবেন কেউ কেউ, তাতে হয়তো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নাম নেবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নাম লেখানোর দুটো উপায় এক. ধর্মকে গালি দেওয়া, দুই. হালাল উপন্যাস লেখা; এর মাঝে যারা আছেন তারা বাংলা সাহিত্যের খুঁদ-কুড়ো কুড়িয়ে জীবন পার করার জন্য তৈয়ার থাকুন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাসেম বিন আবুবাকার ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে একজন বই বিক্রেতা হিসেবে প্রায় সব উপন্যাসের মধ্যে শুধু শহুরে অভিজাতদের জীবনযাত্রার কথা দেখতে পেয়ে নিজেই হাতে কলম তুলে নেন। এরপর ১৯৭৮ সালে কাসেম তার প্রথম উপন্যাস ‘ফুটন্ত গোলাপ’ লেখেন। তবে ‘মোল্লার উপন্যাস বিক্রি হবে না’ বলে এটি প্রকাশকের নজর কাড়তে প্রায় এক দশক সময় লাগে। ওই প্রকাশকের কাছে মাত্র এক হাজার টাকায় এটির স্বত্বও বিক্রি করে দেন তিনি। এরপর ইসলামী মূল্যবোধকে সামনে রেখে কাসেমের লেখা একের পর এক প্রেমের উপন্যাস প্রকাশিত হতে থাকে। এসব উপন্যাস দ্রুতই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। লাখ লাখ পাঠকের হাতে হাতে ঘুরতে থাকে তার উপন্যাস।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেক্যুলার লেখকরা এমন এক দুনিয়ার গল্প বলেছে, যেখান থেকে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রধান অংশের গ্রামীণ ও ধর্মীয় জীবনের অস্তিত্ব মুছে ফেলা হয়েছে। কাসেম এ শূন্যতার বিষয়টি অনুধাবন করে তার উপন্যাসের বাজার গড়ে তুলেছেন। এছাড়া কাসেমের এ প্রচেষ্টা থেকে নতুন প্রজন্মের অনেক বাংলাদেশি লেখক অনুপ্রাণিত হয়ে সমকালীন ‘ইসলামী উপন্যাস’ লিখে সাফল্যের পথ খুঁজে পেয়েছেন। এদের মধ্যে আবদুস সালাম মিতুল, কাউসার আহমেদ এবং আবদুল আলিমের মতো লেখক উল্লেখযোগ্য
এখনো মেয়েরা নিজের রক্ত দিয়ে আমাকে প্রেমপত্র লেখে: কাসেম বিন আবু বকর
বাংলাদেশী প্রবীণ ঔপন্যাসিক কাসেম বিন আবু বকর। তার উপন্যাসগুলো হাজার হাজার কপি বিক্রি হয়ে থাকে। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও তাকে নিয়ে জোরালো বিতর্ক আছে। অনেকের দাবি, কাসেম বিন আবুবাকার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। এখন পর্যন্ত তার লেখা প্রেমের কাহিনিগুলো গ্রাম-বাংলার তরুণ তরুণীদের মধ্যে এমনকি অল্পবয়সী রক্ষণশীল পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচিত হয়ে থাকে।
তবে বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যমে বরাবরই আলোচনার বাইরে ছিলেন কাসেম বিন আবুবাকার। ঔপন্যাসিক হিসেবেও সাহিত্য সমাজে ‘স্বীকৃতি ও সমাদর’ পাননি তিনি।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি কাসেম বিন আবুবাকারকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ, মধ্যপ্রাচ্যের আরব নিউজ, মালয়েশিয়ার দ্যা স্টার ও মালয়মেইল, পাকিস্তানের দ্য ডন, ফ্রান্সের ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর ও রেডিও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল, হাঙ্গেরির হাঙ্গেরি টুডেসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ফলাও করে কাসেমকে নিয়ে ওই প্রতিবেদন ছেপেছে।
তার লেখা এখন এক ধরনের রেঁনেসা বা পুনর্জাগরণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে মধ্যপন্থী ইসলাম থেকে বাংলাদেশিরা এখন ধর্মকে আরও রক্ষণশীলভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বার্তা সংস্থা এএফপি’কে আবু বকর স্মৃতিচারণ করেন, অনেক মেয়েরা রক্ত দিয়ে আমাকে চিঠি লিখে তাদের ভালোবাসার কথা জানায়। এমনকি বিয়ে করার মত পাগলামীও প্রকাশ করেছে।
তিন দশকের বেশি আগে লিখিত হয় আবু বকরের প্রথম উপন্যাস ‘ফুটন্ত গোলাপ’। এটি মূলত ইসলামিক মূল্যবোধ প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত এক অনবদ্য রোমান্স কাহিনি। এই উপন্যাসের নায়ক-নায়িকা দুটি ভিন্নধর্মী ইসলামী মূল্যবোধ লালিত পরিবারের সদস্য হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের মিল হয় এবং বিয়েও হয়। এবং সেখানে রোমান্স ও সম্পর্কের পরিসীমা দেখানো হয়েছে তাতে ইসলামী বিধি-নিষেধ মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আছে লেখকের।
১৯৭০ সালে প্রথম উপন্যাস লেখা শুরু করেন এই লেখক। তিনি ছিলেন একজন বইয়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী। যখন তিনি বই বিক্রি করতেন, তিনি দেখতে পেতেন বেশিরভাগ প্রেমের উপন্যাসের পটভূমি আধুনিক ঘরানার উচ্চবিত্ত শহুরে সমাজকে কেন্দ্র করে লেখা। তখন তিনি গ্রামীণ পটভূমিতে প্রেমের উপন্যাস লেখার তাগিদ অনুভব করেন। তার মতে, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে একটি বিশাল সংখ্যক মানুষের বাস গ্রামে। যারা রক্ষণশীল ধার্মিক চেতনার মানুষ। তাদেরকে শহুরে প্রেমের উপন্যাস থেকে বঞ্চিত রেখেছেন সেকালের লেখকেরা। আর তাই তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে শহর আর গ্রামের মধ্যকার এই পার্থক্য দূর করার তাড়না থেকেই উপন্যাসিক হিসেবে আবির্ভূত হন।
তবে সেসময় তিনি অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। তাকে বলা হয়, ‘মোল্লাদের উপন্যাস বিক্রি হয় না।’ তবে বাংলাদেশের এক সাংবাদিক কাদেরুদ্দিন শিশিরের মতে, কাসেম বিন আবু বকর তার উপন্যাস দিয়ে একটি জনগোষ্ঠীকে মোহিত করতে পেরেছেন, যা এর আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি। এছাড়াও বলা হয়ে থাকে, কাসেম বিন আবুবাকারের উপন্যাস প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য সেরা উপহার। যুবক প্রেমিক সমাজ এই বইগুলো তাদের প্রেমিকা ও বাগদত্তাদের উপহার দেয়া শুরু করেন।
‘ফুটন্ত গোলাপ’ উপন্যাসে লেখক মুসলিম পরিবারের দু’জন প্রেমিক যুগলের কথা লিখেছেন, যারা বিয়ের জন্য পারিবারিক সম্মতি চায়। এই প্রেক্ষাপটের উপন্যাসটি তিনি ১৯৭৮ সালে লিখেন। তবে বইটি প্রকাশিত হতে সময় নেয় প্রায় এক দশক। এই প্রসঙ্গে কাসেম জানান, প্রকাশকেরা বলেন, মোল্লাদের বই বিক্রি হয় না। আর তাই তিনি তার বইয়ের স্বত্ব মাত্র ১০০০ টাকায় প্রকাশকের কাছে বিক্রি করে দেন। কিন্তু বইটি প্রকাশের পর বদলে যায় পুরো চিত্রটি। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান এই লেখক। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটার পর প্রায় এক ডজনের মত উপন্যাস লেখেন কাসেম বিন আবুবাকার।
আরেক উপন্যাসিক মাজহারুল পারভেজ জানান, তার বইয়ের জনপ্রিয়তার কারণে অসংখ্য ছাত্র মাদ্রাসায় দাখিল হয়। তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষ এই লেখকের লেখায় নিজেদের গল্প খুঁজে পেতেন। তার লেখার ভাষা তাদের তৃপ্তি দিতে সক্ষম হয়।’
ওদিকে অবসরের দুই বছর পরেও কাসেম বিন আবুবাকারের ভক্তরা তাকে ব্যস্ত রেখেছেন। এখনও এই অশীতিপর লেখক তার ভক্তদের জন্য বইয়ের পাতায় অটোগ্রাফ দেন। অসংখ্য নারী ভক্ত বোরকায় মুখ ঢেকে দাঁড়ায় তার অটোগ্রাফের জন্য। শুধু তাই নয়, এখনও ভক্তদের পাঠানো প্রচুর চিঠি পান এই লেখক। বিয়ের প্রস্তাব থেকে শুরু করে অসংখ্য ধন্যবাদ সংবলিত চিঠিও পান কাসেম বিন আবুবাকার। অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ ইসলামের সৎ পথে এসেছেন তার লেখনীর কারণে। সেজন্য তাকে তার লেখার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে চিঠি পাঠান ভক্তরা। এই প্রসঙ্গে কাসেম মজার ছলে জানান, ‘ডাকপিয়ন আমাদের বাড়িতে প্রতিদিন প্রায় ১০০টি চিঠি নিয়ে আসতেন। এমন চলতে থাকায় একসময় তিনি আমার পরিবারের সদস্যে পরিণত হন!’