স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হরিণের মাংস ভাগবাটোয়ারা নিয়ে পুলিশের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানাগেছে। কেউ পেয়েছে আবার কেউ পায়নি। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবল নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ কেউ খাবে আর কেউ খাবেনা, তাহবেনা তাহবেনা’।
শ্যামনগর থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান সুন্দরবনে বনদস্যুদদের তৎপরতা থামাতে শ্যামনগর থানা পুলিশের এস আই লিটন, এ এস আই সাদেক ,কনস্টেবল বিশ্বজিৎ ও ওসির বডিগার্ড গত ২০ এপ্রিল থানা থেকে সি সি নিয়ে সুন্দরবনে যায়।
এসব পুলিশ সদস্যরা শ্যামনগরের চিহ্নিত হরিণ শিকারী মোস্তফা ও আনারুল কে সাথে নিয়ে হরিণ শিকার মামলার অন্যতম আসামী জনৈক স. মোড়লের ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনের অভয়ারন্য এলাকায় ঢুকে পড়ে তারা।
সূত জানায় , বনদস্যু নিধনের নামে সুন্দরবনের ভিতর অভিযানে গিয়ে ১০ টি শিংহল হরিণ শিকার করে তারা। এ ১০ টি হরিণের প্রায় সাড়ে ৭ মন মাংস হয়। মাংসের উপর চিংড়ী মাছ দিয়ে তা নয়ে আসা হয় লোকালয়ে।
সূত্র জানায়, শ্যামনগর থানার ওসি কে দেয়া হয় আড়াই মন মাংস। শুক্রবার এম আর পরিবহনযোগে এসব মাংস ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানাগেছে। ককসিটের নীচে মাংস আর উপরে চিংড়ী মাছ দিয়ে পাঠানো হয় ঢাকাতে। ওসির বাসার ফ্রীজে এখনও প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কেজি মাংস আছে বলে তারা জানায়।
বাকী মাংস থানার একাধিক দারোগারা ১০ কেজি করে ভাগ করে নিলেও ৩২ দারোগার অনেকেই এ মাংসের ভাগ পায়নি। যার কারনে চ্যাঞ্জল্যকর ঘটনাটি সহজেই ফাঁস হয়ে পড়েছে। শ্যামনগরের সচেতন মহল এ ঘটনার যথাযথ তদন্তপুর্বক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান,তাদেরকে থানা থেকে ১৯ এপ্রিল সি সি দিয়েছিলাম এটা সত্য। তবে তারা হরিণ শিকার করে নিয়ে এসেছে এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট। তারা গিয়েছিল গাবুরার চকবারা এলাকায় বনদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে।
ওসি আরও বলেন, আমার বাসার কোন ফ্রিজ নেই। আমি ঢাকায়ও হরিণের মাংস পাঠায়নি। আমি নিজে ডায়াবেটিস রোগি, হরিণের মাংস খায়না। আমার অফিসের কিছু পুলিশ সদস্য শক্রতামূলক ভাবে এসব তথ্য দিতে পারে। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। প্লিজ এসব কথায় কান দিবেন না।