ক্রাইমবার্তা রিপোট:হাওর এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ১২৬ কোটি টাকার পুরোটাই জলে গেছে।
হাওরে ৮ দশমিক ৮ মিটার পানি প্রবাহের বিপরীতে ৬ দশমিক ৫ মিটার বাঁধ নির্মাণ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আগাম বন্যার সময়কাল বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
বাঁধ নির্মাণ কার্যাদেশ দেয়ার ক্ষেত্রেও আগের মতোই বিলম্ব করা হয়েছে বলে পাউবোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
প্রায় ৭শ’ কোটি টাকার এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো উপেক্ষা করে ২০১১-২০১২ অর্থবছর থেকে বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বাদ দেয়ায় প্রতি বছরই দেরিতে কাজ শুরু হয়েছে।
ঠিকাদাররা কাজ শুরুর পরপরই আগাম বন্যা দেখা দেয়। বন্যার পানিতে বাঁধের কাজ ভেসে গেছে। ফলে পরের বছর আবার নতুনভাবে শুরু করতে হয়েছে।
এভাবে ছয় বছর ধরে প্রথম থেকে বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে সোয়াশ’ কোটি টাকার বেশি হাওরের পানিতে ভেসে গেছে। কিন্তু এলাকার মানুষের কোনো উপকারেই আসেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর কবির যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, মে মাসে সুনামগঞ্জে পানির লেভেল থাকে ৬ দশমিক ৫ মিটার।
ওই হিসাব করেই বাঁধের ডিজাইন করা হয়। মে মাস পর্যন্ত আমরা এটা প্রটেক্ট করতে চাই। এর মধ্যে কৃষকের বোরো ফসল ঘরে উঠে যায়।’ তিনি বলেন, ‘হাওরকে হাওরের মতো রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষণে বন্যা মে মাসের পরিবর্তে মার্চ-এপ্রিলে আসার কথা বলছে, তাহলে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ আরও আগে নেয়া হয় না কেন জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘আমরা দুই ভাগে কাজ করে থাকি।
একটি হচ্ছে ঠিকাদার দিয়ে, অপরটি হচ্ছে পিআইসির মাধ্যমে। পিআইসির তালিকা নভেম্বরে দেয়ার কথা থাকলেও তা পাওয়া যাচ্ছে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। তাহলে কিভাবে এই কাজটা শুরু করব। তবে আগামী বছর থেকে এ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হবে। আমরা এ বছর নদী ড্রেজিংও শুরু করব।’
জানা গেছে, বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগাম বন্যা মে মাসের পরিবর্তে মার্চ-এপ্রিলের দিকে শুরু হচ্ছে। ২০০৪ সালে আগাম বন্যায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ৮ মিটার। ২০১০ সালে মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫০ মিটার থেকে ৮ মিটার উচ্চতায় স্থায়ী ছিল।
কাজেই আগাম বন্যা প্রতিরোধে নির্মিত বাঁধের উচ্চতা বড় ধরনের প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড বিশেষজ্ঞদের ইঙ্গিত আমলে না নিয়ে ৬ দশমিক ৫ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন বাঁধ নির্মাণের ডিজাইন করে। আর বাঁধ নির্মাণের শেষ তারিখ নির্ধারণ করে ৩১ মার্চ।
পাউবোর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, ‘ফিজিবিলিটি স্টাডিতে যদি ৮ দশমিক ৮ মিটার পানির উচ্চতা ধরা পড়ে তাহলে কেন ৬ দশমিক ৫ মিটারের হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের ডিজাইন হবে। জেনে-বুঝে এ ধরনের বাঁধের ডিজাইন করাটাই রহস্যজনক। এছাড়া যেখানে বলা হয়েছে, আগাম বন্যার সময় এগিয়ে এসেছে। মার্চ-এপ্রিলেই বন্যা শুরু হচ্ছে।
সেখানে বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কার কাজের কার্যাদেশ দেরিতে দেয়া হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘পানি প্রবাহের সময় দুই মাস এগিয়ে আসার তথ্য দিয়েছে সিইজিআইএস (সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস) ও আইডব্লিউএম (ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং)। সেখানে বাঁধ নির্মাণের সময়ও সেভাবেই নির্ধারণ করা উচিত ছিল।
কিন্তু তা না করে গতানুগতিক হিসেবেই বাঁধ নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। এতে বাঁধ নির্মাণে সংস্থাটির পরিকল্পনায় ত্রুটির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেরিতে কাজ শুরুর সুযোগ নিয়েছে অন্যরা।
অভিযোগ উঠেছে আগাম কমিশনের কারণে কোনো কোনো ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিতেও দেরি করেছে পাউবো। এ অবস্থায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বাঁধ নির্মাণ না করে সময়ক্ষেপণ করেছে।
যেভাবে সাজানো হয় প্রকল্প : প্রকল্প পরিচালকের প্রস্তাবনায় দেখা গেছে, প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ১৮১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
নদীর তীরবর্তী প্রথম বাঁধ ভেঙে গেলেও যাতে হাওরের ফসল রক্ষা পায় সেজন্য দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে ৩২ কিলোমিটার কম্পার্টমেন্টাল ডাইক নির্মাণে ২৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়।
পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩৯টি ড্রেনেজ রেগুলেটর নির্মাণে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩১ কোটি ২৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। হাওরের বিভিন্ন স্থানের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ২৯টি ড্রেনেজ আউটলেট নির্মাণে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ৩৫টি কজওয়ে (বর্ষা মৌসুমের আগে বালির বস্তা দিয়ে গভীর গর্ত ভরাট করে হাওর রক্ষায় বিশেষ বাঁধ) নির্মাণে ১০২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়।
এছাড়া জমিতে পানি দেয়ার সুবিধার্থে ২২টি রেগুলেটর নির্মাণে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, ৩৩৩ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ খাল খননে ৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ও ২১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় সুরমা ও বৌলাই নদীর ৪০ কিলোমিটার খননের পরিকল্পনা পাওয়া যায় প্রকল্প পরিচালকের হালনাগাদ ডিপিপিতে। অন্যান্য খাতসহ এতে ব্যয় ধরা হয় ৭৩৩ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
এদিকে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকৃত নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ‘হাওর এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্পটি শুরুর অর্থবছরে (২০১১-১২ অর্থবছর) ১৪৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা প্রস্তাবের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
ওই অর্থবছরে এই টাকায় কাজ দেখানো হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২০৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা প্রস্তাবের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয় ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
ওই বছর কাজের অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৩ দশমিক ৬৪ পার্সেন্ট। এভাবে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৮১ কোটি টাকা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া হয় ২৪ কোটি টাকা। কাজ দেখানো হয়, সাড়ে তিন শতাংশ।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৪৮ কোটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দ দেয়া হয় ২৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ওই বছর কাজের অগ্রগতি দেখানো হয় ৪ দশমিক ৯ ভাগ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৪১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৩১ কোটি ১১ লাখ টাকার প্রস্তাব দেয়া হলেও বরাদ্দ দেয়া হয় ৮০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে গত বছর এবং চলতি বছর ঠিকাদাররা ঠিকমতো কাজ না করায় এ বরাদ্দের একটি বড় অংশ ফেরত পাঠানোর কথা জানান প্রকল্পটির পিডি ও পাউবোর সিলেটের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আবদুল হাই। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘এবার যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে নদী খনন করতেই হবে।
কারণ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১১৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টির তথ্য পাওয়া গেছে, যা এযাবৎকালের ইতিহাসে নজিরবিহীন। চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের পানি সুরমা নদী দিয়ে সুনামগঞ্জ অতিক্রম করে। এছাড়া শীলচর, সিলেট ও সুনামগঞ্জেও বৃষ্টির পরিমাণ ছিল কাছাকাছি।’ তিনি বলেন, ‘খাল ও নদীতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। কাজেই ড্রেজিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর হাওরাঞ্চল সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন তাহিরপুর উপজেলা সদরে এক বিশাল জনসভায় হাওর উন্নয়নে মেগা প্রকল্প গ্রহণের ঘোষণা দেন। এরপর ২০১১ সালের ১২ এপ্রিল ৬শ’ কোটি ৮৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা অর্থায়নের লক্ষ্য নিয়ে ‘হাওর এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্প’টি একনেকে পাস পায়।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নে মেয়াদকাল ছিল ২০১১ সালের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত। এরপর এক দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয়ও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে হাওরবাসীর স্বপ্ন পূরণে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪০ কোটি টাকা।
১২৬ কোটি টাকার বিপরীতে খাতা-কলমে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ১৭ দশমিক ৯০ ভাগ। কিন্তু বাস্তবে প্রতি বছর শূন্য থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে, যা হাওরবাসীর কোনো কাজেই আসেনি।
প্রকল্পটির তথ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে ২০১১ সালের ১২ এপ্রিল শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার একটি কার্যবিবরণী পাওয়া যায়।
এতে সিইজিআইএস (সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস) ও আইডব্লিউএম (ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং) পর্যবেক্ষণে বর্ষায় ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে বোরো ফসল রক্ষা এবং নিষ্কাশন, খাল পুনঃখনন, নদী ড্রেজিংকে গুরুত্ব দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক এই দুটি সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটি ৩২টি হাওর অনুসন্ধান করে। আর পাউবো গঠিত কারিগরি কমিটি ১৫টি হাওর এলাকা গবেষণা করে। এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রকল্প অনুমোদনে বিবেচনায় নেয়া হয়।
একনেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীসহ সিনিয়র মন্ত্রীদের সামনে নদী ড্রেজিংয়ের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে হাওর এলাকার বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়। এ সময় প্রকল্পটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বলা হয়, সুনামগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ নদী সুরমা, বৌলাই, কালনী, জাদুকাটা ও কংস। হাওরগুলো মূল নদীর সঙ্গে ছোট ছোট নদী খাল দ্বারা সংযুক্ত।
এ এলাকার হাওরগুলো মার্চ মাস থেকে ডুবতে থাকে এবং বর্ষাকালে ৬ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় পানি থাকে। অক্টোবর মাস থেকে পানি কমা শুরু হলেও পর্যাপ্ত নিষ্কাশনের অভাবে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পানি জমে থাকে। এলাকার একমাত্র ফসল বোরো ধান জানুয়ারি মাসে রোপণ এবং এপ্রিল মাসে কাটা হয়।
আগাম বন্যার কারণে এই ফসল আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষার জন্য পাউবো ১৯৬০ সাল থেকে হাওর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
দেশের এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৪৬টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। দেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন এলাকা হওয়ায় হাওর এলাকায় সম্পূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ পরিবেশ ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
তাই হাওর রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ এবং হাওরের চতুর্দিকে রেগুলেটর স্লুইস নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ সময় ডুবে থাকা এবং পানিপ্রবাহ ও নৌচলাচলের কারণে এ বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার পরবর্তী শুষ্ক মৌসুমে তা মেরামত করতে হয়।
ওই সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, প্রকল্পের বিস্তারিত বর্ণনা শুনে প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে প্রকল্পটির প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘নদীতে ড্রেজিং করা জরুরি। এরপর বন্যা হলেও ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। এটা একটা ভালো প্রকল্প।
’ প্রায় ৬ বছর আগের ওই বৈঠকে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ‘হাওর বোর্ড হলেও এর কার্যক্রম জনগণের চোখে তেমন একটা পড়ছে না।’ তিনি বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ঠিকাদাররা কাজ পেয়ে অল্প কাজ করেই চলে যায়। বর্ষার সময় সব কাজ পানিতে ভেসে যায়।’
এদিকে এ বছর পাউবোর সুনামগঞ্জের প্রত্যাহারকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বর্ণিত অগ্রবর্তী প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ বছর ১৯টি বাঁধে কোনো কাজই করেনি কয়েকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ৫ ভাগ করা হয় ১২টি বাঁধে, ১০ ভাগ ৫১টি বাঁধে, ১৫ ভাগ করা হয় ২৬টি বাঁধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবোর এক কর্মকর্তা বলেন, আসলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসব তথ্য-উপাত্ত গোপন করে সংশ্লিষ্টরা দায় এড়াতে এখন বলছেন, ‘৬ দশমিক ৫ মিটার বাঁধের ডিজাইন লেভেল অতিক্রম করে পানি হাওরে প্রবেশ করেছে। যেখানে ঠিকাদারদের কাজের পরিমাণই হতাশাজনক সেখানে কেন বাঁধের ডিজাইন লেভেল অতিক্রম করার কথা বলা হচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।’