‘ফেসবুক নয়, বড় পর্দার তারকা হতে চাই’

ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক:এ কথা বলেছেন চলচ্চিত্রে নবাগত আলভিরা ইমু। তিনি তাজুল ইসলাম পরিচালিত গোপন সংকেত ছবি দিয়ে ঢাকার চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। শিরোনামে উল্লিখিত কথাটির সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি নায়িকা হতে চাই না। আমাকে যদি কেউ নায়িকা বলে আমার খুব রাগ হয়। আমি চাই একজন ভালো শিল্পী হতে। এজন্য আমাকে যত বেশি শ্রম দিতে হয় তার জন্য আমি প্রস্তুত আছি। আমার প্রবল ইচ্ছা আছে, তবে পারব কিনা জানিনা। ’ তিনি জানান, ২০১৫ সালে তিনি সন্ধানী চলচ্চিত্রের দুটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু পারিবারিক অসন্তোষের কারণে তখন আর ছবি দুটি করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেইনি। পরিবারের সিদ্ধান্তকে সহজভাবে মেনে নিয়ে সে সময় আমি বিদেশ চলে যাই। ফিরে এসেছি ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। এখন পারিবারিক অনুমতি পেয়েছি। কাজ করছি। এখানেই ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চাই।’23

আলভিরা ইমুর বাবামা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে। মা গৃহিনী হলেও বাবা একজন ব্যবসায়ী। এখানে তিনি পড়াশোনা করছেন। নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যায়ে বিবিএর শেষ সেমেস্টারের ছাত্রী তিনি। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ে আলভিরা ইমু জানান, নাচে তার হাতেখড়ি কলকাতায়। এখন শিখছেন সুমন সাহা নামে একজন শিক্ষকের কাছে। তবে তিনি চলচ্চিত্রে আসার আগে র‌্যাম্পে কাজ করেছেন। শো করেছেন ২৫টি। তার প্রথম র‌্যাম্প শো হয় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক হোটেলে বিবি রাসেলের কোরিওগ্রাফিতে। পোশাক ছিল পাকিস্তানি। আলভিরার উচ্চতা পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি। স্বভাবতই পোশাকগুলোতে তাকে মানিয়ে গেছে।
বর্তমান চলচ্চিত্র শিল্পে প্রকট শিল্পী সংকট। বাজার কাটতি কোনো তারকা নেই বললেই চলে। পরিচালক সমিতি এফডিসির সহযোগিতায় নতুন সন্ধানের উদ্যোগ নিচ্ছে। চলচ্চিত্র শিল্পকে বাচাঁতে হলে নতুনদের উপর নির্ভর করতেই হবে এবং এখান থেকেই তৈরি করতে হবে নির্ভরশীল তারকা। সেক্ষেত্রে আলভিরা ইমুও হতে পারেন একটি সমৃদ্ধশালী উপাদান। তার ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তুলে আনতে হবে উত্তরণের পথে।
চলচ্চিত্রে এসে কি দেখতে পেলেন জানতে চাওয়া হলে আলভিরা ইমু বলেন, ‘এখানে প্রতিযোগিতা আছে, পলিটিক্সও আছে। নতুনদের সুযোগ দিতে চায় না কেউ। অন্যান্য দেশে নতুনদের প্রতিই সবার আগ্রহ। সেখানে নতুনরা যেমন সুযোগ পায় তেমনি টিকেও থাকে। এখানে কেউ কাউকে সহযোগিতা করতে চায় না। আমরা নতুন আমাদের কাছ থেকে কাজ বের করে নিতে হয়।’ তবে তিনি বলেন, ‘আমার নায়ক সাইমন আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। ক্যামেরার সামনে সবাই সহযোগিতার মধ্যে থাকলেও সাইমন ভাই ভুল করলে আমাকে সংশোধন করে দেন। দেখিয়ে দেন অভিব্যক্তিটা কিভাবে দিতে হবে। চিত্রগ্রাহক তপন আহমেদসহ ইউনিটের সবারই সহযোগিতা পাচ্ছি আমি। নতুন হিসেবে সবাই আমার প্রতি খেয়াল রাখছে। পরিচালক তাজুল ইসলামও যতক্ষণ পর্যন্ত না সন্তুষ্ট হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত রেহাই দেন না। এজন্য কাজ করে আরও বেশি মজা পাচ্ছি।’

Check Also

‘পাকিস্তান দলে প্রত্যেক ক্রিকেটারই অধিনায়ক’

টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ পণ্ড হয়, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।