ক্রাইমবার্তা রিপোট:মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। তবে কখন, কবে এবং কীভাবে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসা হবে, তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে বুধবার পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রেস এন্ড পলেটিক্যাল সেক্রেটারি এবং দলের প্রেসিডিয়ামের সদস্য সচিব সুনীল শুভরায় জানান, মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসতে মঙ্গলবার রাতে জাপার সংসদীয় দলের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে কেউ বিরোধিতা করেছে কী করেনি, তা বলতে পারবো না।
উল্লেখ্য, এর আগেও জাপা নেতাদের মধ্যে গত কয়েক বছরে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। বার বার বিষয়টি শুধু আলোচনা আর সিদ্ধান্ত নেয়া পর্যায়েই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু বিষয়টি কখনোই বাস্তব বা চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। তবে দলের চেয়ারম্যান এরশাদ ও কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বরাবরই বলে এসেছেন, সরকারের অংশীদার থেকে কখনো বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করা যায় না।
এ বিষয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, মন্ত্রিসভা থেকে বের হতে হবে- এটি সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ নিজেই প্রস্তাব করেছেন মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেছেন, যারা মন্ত্রিসভায় আছেন কাদের জন্য পথ একটাই খোলা। দলে থাকতে হলে মন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়তে হবে, নইলে দল ছেড়ে মন্ত্রী থাকেন।
জাপার কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, প্রেসিডিয়ামে অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। এটাকে এতদিন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান যদি বলে থাকলে তাহলে খুবই ভালো।
জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবারের বৈঠকে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসার প্রস্তাব দেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তার প্রস্তাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু একমত পোষণ করেন। তবে সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন জাপার প্রবীণ নেতা, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। পক্ষে তার যুক্তি হচ্ছে, এটা এই মুহূর্তে নয়, সামনে সময় করে বের হওয়া যাবে।