ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :নতুন এক জীবনী গ্রন্থে প্রকাশিত ওবামার এই প্রেমের কাহিনী ছাপা হয়েছে লন্ডনের দৈনিক মেট্রোতে
মিশেলের সাথে প্রেম ও বিয়ের আগে শিলা মিয়োশী জ্যাগার নামে এক নারীর প্রেমে পড়েছিলেন বারাক ওবামা । ওবামার প্রস্তাব গ্রহণ করলে মিস মিয়োশীই হতেন ফার্স্ট লেডি।
আশির দশকের মাঝামাঝি যখন শিকাগোতে ওবামা বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মে জড়িত ছিলেন, প্রেমের শুরু হয় সেসময়।
ডাচ-জাপানি বংশোদ্ভূত শিলা মিয়োশীর প্রতি ওবামা এতটাই অনুরক্ত হয়ে পড়েন যে সম্পর্ক শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন মিস মিয়োশী।
বারাক ওবামার নতুন এক জীবনী গ্রন্থে না-জানা এই প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশিত হয়েছে। ‘মেকিং অব বারাক ওবামা’ শিরোনামে বইটি লিখেছেন ডেভিড গ্যারো।
এই জীবনী গ্রন্থের বিভিন্ন অংশ আজ লন্ডনের দৈনিক মেট্রো সহ ব্রিটেন ও আমেরিকার নানা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
কেন ওবামাকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ? মিজ মিয়োশী বলেন, তার বয়স তখন ২৩ এবং তার বাবা-মা চাননি এত অল্প বয়সে তাদের মেয়ের বিয়ে হোক।
বিয়ের প্রস্তাবে বিফল হলেও সম্পর্ক টিঁকে ছিল আরো কিছু দিন।
শিলা মিয়োশীল সাথে কথিত প্রেমের সম্পর্ক শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই মিশেলের প্রেমে পড়েন ওবামা
তারপর ওবামা যখন হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়ার সুযোগ পেলেন, তখন শিলা মিয়োশীকে দ্বিতীয়বার বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু আবারো প্রত্যাখ্যাত হন।
কেন দ্বিতীয়বারও ওবামাকে না করলেন তিনি? শিলা মিয়োশী বলেন, তাদের সম্পর্ক সেসময় অনেকটাই আলগা হয়ে পড়েছিলো। ফলে তিনি আর উৎসাহ পাননি।
শিলা মিয়োশীর বয়স এখন ৫৩। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
তিনি বলেন, বারাক ওবামা তখন থেকেই রাজনীতি নিয়ে অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী ছিলেন এবং তখনই তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার বাসনা তৈরি হয়েছিলো।
শিলা মিয়োশীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চুকে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে ওবামার সাথে দেখা হয় স্ত্রী মিশেলের। তিনি তখন মিশেল রবিনসন।
জীবনী গ্রন্থে দাবি করা হয়েছে, মিশেলের সাথে সম্পর্ক শুরুর পরও কয়েক বছর শিলা মিয়োশীর সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন বারাক ওবামা।
বিয়ের আগের এই প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বারাক ওবামা এখনও মুখ খোলেননি।
সূত্র : বিবিসি