ক্রাইমবার্তা রিপোট: আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুতি নিচেছ। এরই অংশ হিসাবে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী ঠিক করছে। ইতোমধ্যে তারা ৩০০ আসনে ৯০০ প্রার্থী ঠিক করছে। এর মধ্যে বিভিন্নস্তরের নেতারা রয়েছেন। আবার ক্যাটাগরিও রয়েছে।
রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, প্রকৌশলী, সাবেক সেনা কর্মকর্তারা, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরীর নেতারাদেরকে বাছাই করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের ছাড়াও তৃণমূলের নেতাদের মধ্য থেকেও বেশ কিছু সংখ্যক নেতাদেরকে প্রার্থী করা হবে। এছাড়াও নতুন মুখ রয়েছে বেশ কয়েকজন।
সূত্র জানায়, বিএনপি যেসব প্রার্থী ঠিক করছে এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, সাবেক এমপি রয়েছে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক। এর বাইরে নতুন মুখ থাকবে বিকল্প হিসাবে। কারণ বিএনপির সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের বেশিরভাগ নেতার নামে মামলা রয়েছে। আর মামলায় তাদের শাস্তি হলে তারা অংশ নিতে পারবেন কিনা এই নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেই হিসাব বিবেচনা করেও প্রার্থী ঠিক করছে।
বিএনপির সিনিয়র একজন নেতা বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। ৩০০ আসনের মধ্যে আমাদের শরিক দলের প্রার্থীরাও থাকবে। তারা কত আসনে নির্বাচন করতে সেটা আমরা ঠিক করে নেব। তবে তারা কতজন প্রার্থী দিতে চায় সেটা যেমন জেনে নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তাদের প্রার্থীরা কোন কোন আসনে জয়ী হতে পারবে সেগুলো বিবেচনা করেই আমাদেরকে প্রার্থী বাছাই করা হবে।
ওই নেতা বলেন, নির্বাচনের বেশি বাকি নেই। তাই আগে ভাগে প্রস্তুতি না নিলে সমস্যা হবে। এই কারণে আগেই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। সরকার আগাম নির্বাচনও দিতে পারে ২০১৮ সালে। তখন আমাদের প্রস্তুতি নিতে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করা হতে পারে। সরকার তা যাতে না পারে সেই হিসাবে আমরা সব প্রস্তুতি রাখবো।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার বলেছেন, দশম সংসদ নির্বাচনের মত আগামী নির্বাচনে সরকারকে আর একতরফা খেলতে না দেয়া হবে না। আসুন নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা করি, সংলাপ করি। কিন্তু আপনারা সেটা করবেন না। আলোচনায় বসলে আপনাদের আসল কথা ফাঁস হয়ে যাবে। আপনারা জয়ী হতে পারবেন না। আপনারা চান নিজেরাই রেফারি থাকবেন, লাইন্সম্যান থাকবেন। কিন্তু একতরফা খেলা হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলছেন আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান মোতাবেক। কিন্তু সংবিধানকে তো আপনারাই কেটেকুটে কাগজে পরিণত করেছেন।
তিনি বলেন, এমন কঠিন সময় আগে কখনো আসেনি। ৭১ সালে যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল সেই স্বপ্ন খান খান হয়ে গেছে। দুঃখের বিষয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এই দলটির (আওয়ামী লীগ) হাতেই গণতন্ত্র ভুলণ্ঠিত হয়েছে। প্রধান বিচারপতির এক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার বিভাগের উপর নির্বাহী বিভাগ প্রভাব বিস্তার করছে। এটা একটি বড় অভিযোগ।
Check Also
সাতক্ষীরা জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
শাহ জাহান আলী মিটন, সাতক্ষীরা:সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) …