ক্রাইমবার্তা রিপোট:গফরগাঁও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের হামলায় আহত শিক্ষক বদরুল হক
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিমূলক সহায়ক পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হলে দায়িত্বরত শিক্ষকরা আট শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন জব্ধ করেন। এ সময় কয়েক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে বের হয়ে স্থানীয় শিবগঞ্জ বাজারে গিয়ে ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও যশরা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সুমন মিয়ার কাছে অভিযোগ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফুল ইসলাম ও সুমন দলবল নিয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে আসে। তারা বিদ্যালয়ের বারান্দায় থাকা প্রধান শিক্ষকের মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। খোঁজ পেয়ে প্রধান শিক্ষক বদরুল হক তার সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে মোটরসাইকেল আনতে সাইফুল ইসলামের কাছে যান। এ সময় শিক্ষকরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাইফুল ও সুমন দা, লাঠি নিয়ে সদলবলে তাদের ওপর হামলা চালায়। বেধড়ক পিটুনিতে শিক্ষক বদরুল হকের বাম পা ভেঙে যায়।
বদরুল হক জানান, মাস তিনেক আগে বিদ্যালয়ে এডহক কমিটি হয়েছে। সাইফুল ওই কমিটিতে আসতে চেয়েছিল, পারেনি। এ ছাড়াও সাইফুল সম্প্রতি প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি গাছ কেটে নিয়ে যায়। বিদ্যালয়ের পুকুরও দখল করতে চায়। এসবে বাধা দেয়ায় সে আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে সাইফুল মেম্বার, যুবলীগ নেতা সুমন দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম জানায়, স্কুলের পরীক্ষার হলে ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ফোন জব্দ ও স্কুলের কাজে টাকা নেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গফরগাঁও থানার ওসি একেএম মাহাবুবুল আলম জানান, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।