ক্রাইমবার্তা রিপোট: জাতীয় পার্টির জোট গঠনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে দলটির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, জোট গঠনের জন্য বিভিন্ন দলের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। একাধিক দল ও জোটকে অন্তর্ভূক্ত করে আগমী সংসদ নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে চেষ্টা করছি। সে লক্ষ্যেই আমরা শক্তি সঞ্চয় করছি।
সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে ৭০টি দল নিয়ে একটি জোট গঠন করছে দলটি। জোট গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিবিসি বাংলার প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন বলেন, জতীয় পার্টিসহ চারটি বড় দল নিয়ে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের তত্ত্বাবধায়নে ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’ নামে একটি জোট ঘোষণা করতে যাচ্ছি। এই জোটের মাধ্যম্যে জাতির কাছে নতুন প্রয়াস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছি।
জোটে থাকা দলগুলো প্রতিষ্ঠিত ও নিবন্ধিত কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুইটি নিবন্ধিত ও দুইটি অনিবন্ধিত দল নিয়ে আপাতত জোট ঘোষণা করা হচ্ছে। এছাড়া জোটে অংশ নিতে আরও একাধিক দল আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সময়ের সংক্ষিপ্ততার জন্য আমরা তাদেরকে সাথে রাখতে পারিনি কিন্তু পরে সেগুলোও জোটে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা একদিকে যেমন সরকারের দলে আছি অন্যদিকে বিরোধী দলেও আছি। সরকারের মধ্যে আমাদের ৩টি মন্ত্রী আছে। আমরা এখন চিন্তাÑভাবনা করছি, কখন এবং কিভাবে সরকার থেকে বেরিয়ে জোটগুলোর সাথে আলোচনা করে এককভাবে দল গঠন করতে পারি। তবে এখনো এটি চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনাধীন রয়েছে।
বিরোধী দল হিসেবে সংসদে জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে। সেখানে নতুন এই জোট কী ধরণের ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আপনার মনে হয়?
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তা সঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রেই সেটা অনাকাঙ্খিত। কারণ, দেশের প্রেক্ষিত বিবেচনা করেই আমাদের আগাতে হচ্ছে। অতীতে সংসদে যেসব বিরোধী দলগুলো ছিলো সেখানেও সবসময়ই দেশবাসী হতাশ হয়েছে।
নতুন জোট গঠনে জাতীয় পার্টি আজ (৭ মে) একটি জোট গঠনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে।
Check Also
প্রত্যেকটা অফিসের কেরানি পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসর : আসিফ মাহমুদ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ …