ক্রাইমবার্তা রিপোট:তোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ হাজার হাজার একর জমি নেকব্রষ্টার ও শীষ মরা রোগে আক্রন্ত হয়ে ধান উৎপাদন ২০ ভাগে নেমে এসেছে। ডোমার উপজেলায় ১০ ইউনিয়নে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ হয়েছিল তাতে ৪৫০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছিল কিন্তু আবহাওয়ার প্রতিকূলের কারণে ধান পাকার সময় ব্লাষ্টার রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮০ ভাগ ধান নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে তাতে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির ধান অর্ধেক এবং ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে যাহা সরেজমিনে দেখা গেছে। ধানের শীষ বের হওয়ার পরেই মরে যাচ্ছে এবং চিঠা পড়তেছে। যাহা প্রতি বিঘা ধানের উৎপাদন ২০ মন থেকে ৩/৫ মনে নেমে এসেছে। কোন কোন জমিতে ধান নাই বলেই চলে কৃষকরা ধান নাই বলে তারা ধান কাটছেনা মাঠেই জমির ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। ধান কাটতে মাড়াই করতে যত টাকার খরচ হবে সেই টাকা ধান মাড়াই করে আসবেনা বলে তারা ধান কেটে ঘরে নিতে রাজি না। ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডের কৃষক আব্দুর জব্বার, মোস্তফা ও মদ্দি ৩ জন মিলে ৭/৫/৬ বিঘা জমি পাশ্ববর্তী ধনাঢ্য ব্যাক্তি হাচান হাজীর কাজ থেকে বিঘা প্রতি ৬ মন ধানের বিনিময়ে বর্গা নিয়েছিল কিন্তু বিঘা প্রতি ২ মন ধানোও উৎপাদন হবে না । উৎপাদন খরচ হয়েছে বিঘা পতি ৮ হাজার টাকা, তারা কিভাবে খরচের টাকা ও চুক্তির ধান পরিশোদ করবে তা নিয়ে তারা খুব চিন্তিত ও মাথায় হাত পড়েছে। ঐ এলাকার কৃষি উপসহকারী অফিসার প্রভাত চন্দ্র সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান যে, আমরা এই রোগ সম্পর্কে জনগণকে আগে বলেছি এবং সব রকম পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি কিন্তু আবহাওয়ার কারনে ঔষধ দেওয়ার পরেও তা কজে আসেনি। আগামী মৌসুম থেকে বি-আর ২৮ জাতের বীজ বপন না করার জন্য বলেছি। ডোমার উপজেলা কৃষি অফিসার জাফর ইকবালের সাথে কথা বললে তিনি জানান যে, বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জমিতে এই রোগ হয়েছে সে ক্ষেত্রে ৩০ ভাগ কথাও কথাও ৪০ ভাগ ধান উৎপাদন কম হতে পারে। এই উপজেলায় ৩৫ থেকে ৪০ হেক্টর জমিতে এই রোগ দেখা দিয়েছে বলে আমাদের জরিপে এসেছে।
Check Also
আশাশুনির প্রতাপনগরে ৫ আগস্ট বন্দুকের গুলিতে নিহত ৩ শহীদের অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।। গত ৫ আগষ্ট-২০২৪ আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান …