ক্রাইমবার্তা রিপোট: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডানপন্থী প্রার্থী ম্যারিন লি পেনের বাবা জেন ম্যারিন লি পেন বলেছেন, আমার মেয়ে প্রেসিডেন্সির জন্য উপযুক্ত নয়। অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যমের জরিপে দেখা গিয়েছে ভোটিং পুলে এগিয়ে আছেন মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রোন।
২০০২ সালে মেরিনের বাবা জ্যঁ-মেরি লে পেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে ডানপন্থী জ্যাক শিরাকের কাছে হেরে যান। ১৮ শতাংশ ভোট পান তিনি। যদিও প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিরা গিনিফ বলেছেন, ‘আমি মনে করি না যে, লে পেনের জেতাটা অবাক করার মতো কিছু।’
অন্যদিকে রোববার বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যম লি সোইরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্রোন ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্সির জন্য নির্বাচিত হবেন। রোববারের পুলে দেখা গিয়েছে, ফ্রান্সের নাগরিকত্ব প্রাপ্ত বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিকদের সমর্থন লাভ করেছেন ম্যাক্রোন।
যে ভোটাররা ডান বা বামপন্থীদের ভোট দিতেন তাদেরও সমর্থন পেয়েছেন ম্যাক্রন। ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের প্রথম পর্বে পরাজিত সোশ্যালিস্ট বেনয় হ্যামন ও রিপাবলিকান ফ্রাঁসোয়া ফিলন নিজেদের সমর্থকদের চূড়ান্ত পর্বে ম্যাক্রনকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে ইইউসহ ফ্রান্সের ভবিষ্যৎ রাজনীতি। ইউরোপসহ গোটা বিশ্বের নজর তাই এই নির্বাচনে। বিজয়ী প্রার্থী ফরাসি রাজনীতিকে কোন পথে নিয়ে যাবেন, এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়া ৩৯ বছর বয়সী ম্যাক্রো জানান, নির্বাচনে জিতলে তিনি ফ্রান্সের সামাজিক সুরক্ষার কাঠামো আরো জোরদার করবেন।‘অনলি ফ্রান্স’ সেøাগানধারী অভিবাসনবিরোধী পেন বলেন, ইইউ এবং জোটের একক মুদ্রা ইউরো থেকে দেশকে বের করে নিয়ে যাওয়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
স্থানীয় সময় রোববার সকালে শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। বিজয়ী প্রার্থী ১৪ মের মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদেঁর কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। এরআগে ২৩ জুন নির্বাচনের প্রথম পর্বে ম্যাক্রো ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ, লি পেন ২১ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পান। সূত্র: দ্য লোকাল, টেলিগ্রাফ।
Check Also
ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …