ক্রাইমবার্তা রিপোট:নরসিংদীর রায়পুরায় সোমবার দুপুরে দূর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিবদমান আওয়ামী লীগের দু’দলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জন নিহত এবং টেটা ও গুলিবিদ্ধ অন্তত আরো ২৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন রাজনগর গ্রামের জোহর মিয়ার পুত্র মোঃ জয়নাল মিয়া (২২) ও ছোবানপুর গ্রামের শুক্কুর আলীর পুত্র আরশ আলী (২৫)। নিহত দু-জনই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান শাহেদ সরকারের সমর্থিত বলে জানা যায়।
এ সংঘর্ষে ২০/২৫ জন গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংঘর্ষে চলাকালীন ৪ শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে টেটা ও আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেয়া হয়।
অপরদিকে গত ২০ এপ্রিল আ’ লীগের দু-গ্রুপের দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। তারা হলেন উপজেলা আ”লীগের সদস্য ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক-সমর্থিত মাসুদ (২৯) এবং শাহেদ সরকার-সমর্থিত শারফিন (২০)। গতকাল সোমবার এ সংঘর্ষে ২০/২৫ টি বাড়ী-ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে।
জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনায় গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরের দিন বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ঐ সময় বিএনপির থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করা সিরাজুল হক এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান সাহেদ-সমর্থিতদের মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে সাহেদ-সমর্থিত শতাধিক বসতঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৩ বছর এলাকা ছাড়া থাকে শাহেদ সরকারের অর্ধশতাধিক পরিবার। এরই জের ধরে গত মাসের ২০ এপ্রিল এলাকা ছাড়া পরিবার গুলো নিজ বাড়িতে উঠতে গেলে উভয় দলের তুমুল সংঘর্ষে সিরাজুল হক-সমর্থিত শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর হয়। নিহত হয় উভয় দলের দু’জন। পর ঐ দিন থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। উভয় দলের পাল্টাপাল্টি ১৮ মামলার মধ্যে শাহেদ সরকারে বিরুদ্বে ১৫ মামলা দায়ের করেন সিরাজুল হকের সমর্থিতরা। এরই জের ধরে সোমবার পুনরায় দুই দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ চালাকালে শাহেদ সরকারে সমর্থিত দু’জন নিহত হন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় দুদলের সংঘর্ষ চলছিল। রায়পুরা থানার ওসি মোঃ আজহার ইসলাম সরকার একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।