ক্রাইমবার্তা রিপোট:কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় যৌতুকের পরিবর্তে ব্যবহৃত স্বর্ণালঙ্কার চেয়ে না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী।
মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের জামালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম তসলিমা আকতার (২০)। তিনি উপজেলার বড় মহেশখালী ফকিরা ঘোনা এলাকার আবু ছৈয়দের মেয়ে। সাত মাস আগে জামালপাড়ার আবদুল খালেকের ছেলে আলী হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
আলী হোসেন তার বড় ভাই আবদুস শুক্কুরের সঙ্গে লবণ মাঠে কাজ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, বিয়েতে মোহরানা বাবদ তসলিমাকে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেন আলী হোসেন। দুমাস আগে তসলিমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন আলী হোসেন। এতে তসলিমা রাজি না হলে বিয়ের সময় দেয়া স্বর্ণগুলো বিক্রি করে টাকা দিতে বলেন।
তসলিমা তাতেও রাজি না হওয়ায় পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর একপর্যায়ে মারধর করলে ১২ দিন আগে বাবার বাড়ি চলে যায় তসলিমা।
সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবদুল করিমের জিম্মায় তসলিমাকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে স্বামীর পরিবার।
নিহতের ভাই গোলাম মোস্তফা জানান, রাতে তসলিমাকে মারধর করে আলী হোসেন। তার সঙ্গে যোগ দেন আবদুস শুক্কুর ওরফে সোনাইয়া। এসময় তসলিমার কান্নার শব্দ মোবাইলে আমাদের বাড়িতে শোনানো হয়।
তিনি জানান, বিষয়টি আবদুল করিম মেম্বারকে জানানো হয়। পরে করিম মেম্বার আলী হোসেনদের বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে মঙ্গলবার সকালে শালিস বসার কথা বলে চলে যান।
গোলাম মোস্তফা আরও জানান, মেম্বার চলে যাবার পর তসলিমাকে হাত-পা বেধে মারধর করে স্বামী, ভাসুর ও ননদ। একপর্যায়ে তসলিমার মৃত্যু হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। ভোর ৪টায় করিম মেম্বার ফোনে বিষয়টি আমাদের জানান।
গোলাম মোস্তফা জানান, তসলিমাকে সাত মাস আগে বিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার বলেন, তসলিমার মৃত্যুর পর বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে। তাদের খুঁজছে পুলিশ।