রাষ্ট্রীয় উপহার দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন এরশাদ

ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী গ্রহণের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আপিলের রায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেন।

আদালতে এরশাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

এ মামলায় বিচারিক আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

এ সাজা থেকে খালাস চেয়ে এরশাদ আপিল করেছিলেন। অন্যদিকে, সাজা বাড়াতে আপিল করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

এছাড়া এরশাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়া এক সাক্ষীর বিষয়ে সরকার আরেকটি আপিল করেছিল।

মঙ্গলবার তিন আপিলের রায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

জানা গেছে, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন এইচ এম এরশাদ।

ওই সময় তিনি বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়।

এ সাজা থেকে খালাস চেয়ে ওই বছরই এরশাদ হাইকোর্টে আপিল করেন।

হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।

এদিকে এরশাদের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে সরকার। এছাড়া তার পক্ষে দেয়া এক সাক্ষীর বিষয়ে সরকার আরেকটি আপিল করে।

২০১২ সালে দুদক এতে পক্ষভুক্ত হয়। পরে শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করে দুদক। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ নভেম্বর এরশাদের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।

৯ মার্চ শুনানি শেষে  বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ রায়ের জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেন।

পরে রায় ঘোষণার তারিখে নথি পর্যালোচনা করে আদালত বলেন, এই মামলায় সরকারের দুটি আপিল রয়েছে। যা একসঙ্গে শুনানির আদেশ আছে।

এ অবস্থায় ২৩ মার্চ রায় ঘোষণা না করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য তিন আপিলের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

পরে প্রধান বিচারপতি আপিলগুলো শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে গত ৩১ মার্চ সরকারের করা আপিলের সঙ্গে সহ-আপিলকারী হিসেবে যুক্ত হতে দুদকের করা আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

গত ১২ এপ্রিল সবগুলো আপিলের শুনানি শেষে ৯ মে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন হাইকোর্ট।

 

Check Also

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে : অ্যাটর্নি জেনারেল

র্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।