ক্রাইমবার্তা রিপোট:: দেশে যে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই তা প্রধানমন্ত্রী জানবেন না, কারণ তিনিই আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ধ্বংস করছেন। যে কারণে আজকে বাংলাদেশের কোনো মানুষ শান্তিতে নেই, স্তস্তিতে নেই কথাগুলো বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করে শহীদ পিন্টু স্মৃতি পরিষদ।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোথাও আইনের শাসন নেই। আওয়ামী লীগ যখন যা বলছে সেটাই আইন, সেটাই বিচার হয়ে যাচ্ছে। কখনও কল্পনাও করতে পারিনি যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলে কিছুই থাকবে না। সরকারের স্বৈরাচারি নীতির কারণে গোটা দেশ আজ হতাশ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছি। এখন তোমাদেরই এ দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যায়, অবিচার, লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। তাই শুধু ঘরের মধ্যে স্লোগান দিলে হবে না। সংগঠনকে শক্তিশালী করো, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হও। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যে অপশক্তি আমাদের গণতন্ত্রকে হরণ করছে তাকে পরাজিত করতে হবে। অন্যথায় এইভাবে ঘরের মধ্যে স্লোগান দিয়ে লাভ হবে না। রুখে দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, হাওরাঞ্চলে হাহাকার চলছে। মানুষের খাবার নেই। ভবিষ্যতে তারা কী করবে তা নিজেরাই জানে না। মোটা চালের দাম ৫০ টাকার কাছাকাছি চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। অথচ সরকার বলছে চাল আমদানি করছে। কিন্তু আওয়াজ আসছে হাওরাঞ্চলে খাদ্যের অভাব দেখা দিচ্ছে। হাওরবাসী দিশেহারা। তারপরও সরকার উন্নয়ন, উন্নয়ন বলে যাচ্ছে। যেন বাংলাদেশের মানুষের আর কিছুর প্রয়োজন নেই।
সংগঠনের সভাপতি সাঈদ হোসেন সোহেলের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু’র সহধর্মিনী নাসিমা আক্তার কল্পনা প্রমুখ।