ক্রাইমবার্তা রিপোট:কলারোয়া সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ইয়াবা সেবন করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধে কলেজ পড়–য়া ছাত্র ও ২সন্তানের জননী প্রমিক যুগলকে আটক করেছে থানা পুলিশ। বৃৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ভাদিয়ালী গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হল ঝাউডাঙ্গা কলেজের এইচ এস সি শিক্ষার্র্থী ও উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাজার এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইমরান হোসেন শাওন (১৮) এবং দক্ষিণ ভাদিয়ালী গ্রামের কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী বহু মাদক মামলার আসামী আজাহারুলের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী সুমি বেগম (২৮)। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কলেজ পড়–য়া ছাত্র শাওনের সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ী আজাহারুলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। শাওন ইয়াবা সেবন করায় আজাহারুলের বাড়িতে ইয়াবা ট্যাবলেট কিনতে যাতায়াত করতো। যাতায়াতের এক পর্যায়ে আজাহারুলের সুন্দরী স্ত্রী সুুমি বেগমকে শাওনের চোখে নজরে পরে। সুমি বেগমও ইয়াবা সেবনকারী বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। উৎশৃঙ্খল শাওন ইয়াবা কিনতে আজাহারুলের বাড়িতে যায় এবং লেনদেন গড়ে তোলে। লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় আজাহারুল শাওনের কাছে ইয়াবা বিক্রয়ের ১০ হাজার টাকা পাবে বলে শাওন জানান। কিন্তুু প্রেম মানে না বাঁধা ইয়াবা কিনতে আসা শাওনের চোখে সুন্দরী আজহারুলের স্ত্রীর নজর পড়ায় সুমি বেগমের প্রেমে পরে শাওনের মন কেড়ে নেয়। আজাহারুল বাড়িতে অধিক সময় না থাকায় সুযোগ বুঝে সুন্দরী স্ত্রী সুমি বেগমের সাথে প্রেম আলাপে মেতে থাকতো শাওন এমনকি ইয়াবায় আসক্ত করে ফেলে সুমিকে। এরই মধ্যে প্রেমিকা সুমি বেগম কলেজ পড়–য়া ছাত্র শাওনের সাথে ওই বাড়িতে ইয়াবা সেবন করে দু’জনই একাধিক বার যৌন মিলন ঘটায়। কলেজ পড়–য়া শাওন এর আগেও মাদকসহ পুলিশ ও সীমান্তের বিজিবির হাতে বন্দি হয়ে জেল খাটেন। পরিবারের লোকজন বিষয়টি ভাল ভাবে মেনে না নেওয়ায় স্ত্রী সুুমি বেগম সাফ জানিয়ে দেন স্বামী আজাহারুলের সংসার আর করবেন না। স্ত্রী আরও বলেন আজাহারুল একটা মাতাল মাদক ব্যবসায়ী তার সংসারে এসে আমার জীবনে কোন সুখ শান্তি হল না বলে বলেন সুমির ভাষ্য। এদিকে স্বামী আজাহারুল বাড়িতে না থাকায় প্রেমিকা সুমি বেগমের সাথে দীর্র্ঘদিন যাবৎ প্রেম চলে আসার সুবাদে কলেজ পড়–য়া ছাত্র শাওনকে সুমি ফোন করে আজহারুলের বাড়িতে আসতে বলে। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে প্রেমের টানে প্রেমিকা সুমির ইয়াবা সেবনের বাকি ১০ হাজার টাকা সাথে নিয়ে প্রেমিকা সুমি বেগমের বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় শাওন। সুুযোগ বুঝে ঘটনাটি আজাহারুল আঁচ করতে পেরে ঘরে গিয়ে দেখে তারা ওলঙ্গ। দু’জনকে একসাথে দেখে আজাহারুল ঘর লক করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। ওই রাতেই তাদের দু’জনকে একসাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রেমিক কলেজ পড়–য়া ছাত্র শাওনকে বেধড়ক উত্তম মধ্যম দিয়ে সারা শরীল মুখ ফুলা জখম করে সকাল পর্র্যন্ত বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত হয়ে তাদের দু’জনকে একত্রে বাঁধা অবস্থায় দেখে ঘটনাটি সঠিক কোন সুরাহা করতে না পারায় তারা থানা পুলিশকে অবগত করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই বাড়িতে এসে বিষয়টি শুনে আটক প্রেমিক কলেজ পড়–য়া শাওন ও সুুন্দরী প্রেমিকা সুমি বেগমকে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে প্রেমিক যুগল থানা পুলিশ হেফাজতে আটক রাখা আছে। এমন জঘন্য মুখরুচি ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এদিকে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার পায়তারা করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী এক ইউপি সদস্য ও তার সাঙ্গ পান্ডরা। তবে এ রিপোর্র্ট লেখা পর্র্যন্ত আটক প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
কলারোয়ায় ২ গাঁজা সেবীর প্রকাশ্যে জরিমানা
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ গাঁজাসেবীকে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার রায় এই জরিমানা আদায় করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার রায়ের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম উপজেলার গনপতিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা কালে মোয়াজ্জেম চেয়ারম্যানের ভাটার পাশে বসে
প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করার অপরাধে তাদেরকে আটক করে এবং তাৎক্ষণিক ওই স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানাকৃতরা হল উপজেলার শুভংকারকাটি গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫) ও পৌরসদর তুলশীডাঙ্গা ওয়ার্ডে মহিদুল ইসলামের ছেলে হাবিবুল ইসলাম (২৩)। আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন থানার এসআই ইয়াছিন আলম চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বেঞ্চ সহকারী এমএ মান্নান।