ক্রাইমবার্তা রিপোট:ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় গার্মেন্টসকর্মী মাকসুদাকে পালাক্রমে ধর্ষণের দায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার রৌহারচর বাইদ্যা গড়বাড়ি গ্রামের রসুল মিয়ার ছেলে সুমন ওরফে সুমার আলী ও রৌহারচর টানপাড়া গ্রামের মো. জামাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে সিএনজি চালিত অটো রিকসাচালক মো. আবুল কালামকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(৩) ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ১৩ এপ্রিলে গার্মেন্টসকর্মী মাকসুদা ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে জামালপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে বাসযোগে রাত ১১টার দিকে মুক্তগাছায় আসে। সেখান থেকে চারজন যাত্রীসহ সাজেদুল-মাজেদুল পরিবহন নামে সিএনজিচালিত এক অটোরিকসায় চড়ে জামালপুরের পথে রওনা হয়। পথিমধ্যে দুই যাত্রী নেমে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মুক্তাগাছার সৈয়দপাড়ায় পৌঁছলে অটোরিকসার যাত্রী সুমন ওড়না দিয়ে মাকসুদার মুখ বেঁধে চালক আবুল কালামের সহায়তায় অটোরিকসা থেকে নামিয়ে নিকটস্থ একটি ফিসারিতে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপুর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে মাকসুদাকে অটোরিকসায় উঠিয়ে ময়মনসিংহ-জামালপুর সড়কের মুক্তাগাছা উপজেলার চেঁচুয়াবাজারে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপর ধর্ষিতা অটোরিকসার মালিকের সন্ধান করে আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হস এবং সাক্ষীদের সহযোগিতায় ধর্ষণকারি সুমন ও আবুল কালামকে ধরে নিজেই মুক্তাগাছা থানায় হাজির হয়ে মামলা দায়ের করেন।