ক্রাইমবার্তা রিপোট:ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের সুন্দরী নারী সদস্য স্বামী সন্তান রেখে প্রেমের টানে ওই ইউনিয়নের শিয়ালকুল গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন। গত দুইদিন ধরে তার অনশন চলছে।
বিয়ের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ওই বাড়িতেই অবস্থান করবেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। জানা গেছে, ধামরাইয়ের ওই ইউনিয়নের শিয়ালকুল গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম পলাশ (২৩) সুয়াপুর ইউনিয়নের সুন্দরী নারী সদস্য নাজমিন সুলতানা প্রেয়সী (৩০)-এর সঙ্গে এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সময় প্রেমিক পলাশের প্রলোভনে স্বামী সন্তান রেখে তার সঙ্গে অভিসার শুরু করে। পরে পলাশ তাকে তার স্বামী পিন্টুর মিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে ধামরাই সদরে বাসা ভাড়া করে দেয়। সেই বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করত পলাশ। তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক তৈরি হয় বলে জানান অনশনকারী নারী সদস্য। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, পলাশ তাকে গত ২০শে এপ্রিল ধামরাই পৌর এলাকার কাজী অফিসে গিয়ে ১০ লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করেছে। আমি তার কথায় গত তিন মাস আগে প্রথম স্বামী পিন্টুকে তালাক দিয়েছি। এখন কেন পলাশ ও তার পরিবার আমাকে মেনে নিচ্ছে না। তিনি অরো বলেন, যে পর্যন্ত আমাকে তারা মেনে না নিবে সে পর্যন্ত আমি এই বাড়িতেই অবস্থান করব। আর তা না হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না। আব্দুল আলিম পলাশের চাচা চান মিয়া জানান, তার ভাতিজা যদি বিয়ে করে থাকে আর যদি সে স্ত্রী হিসেবে প্রেয়সীকে মেনে নেয় তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। এ ব্যাপারে আব্দুল আলিম পলাশ মুঠোফোনে বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও প্রেয়সীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ও ধামরাই বাসায় যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।