উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া স্মারক ব্যবহার করার অভিযোগে সাতক্ষীরার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এই দুই প্রধান শিক্ষক হলেন, সদর উপজেলার খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা মো: জাকির হোসেন এবং গাংনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইকরামুল কবির।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই দুই প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ও ভূয়া স্মারক ব্যবহার করে সদর উপজেলাধীন ঘোনা পশ্চিমপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০/০৭/২০০৯ তারিখের পূর্বে ০২ জন ও তেতুলডাঙ্গা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
৩০/০৭/২০০৯ তারিখের পূর্বে ০৩ জন শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নিয়োগ দেয়া হয়েছে মর্মে তথ্য প্রেরণসহ কাগজপত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছেন এবং ওই ভূয়া শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যোগদান করাতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও কর্মরত শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন।
বিদ্যালয় দুটির একটিতে মোঃ জাকির হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ শাহনাজ পারভীনকে এবং অন্যটিতে মোঃ ইকরামুল কবীর এর কন্যা মোছাঃ নাজনীন নাহারকে শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জাকির হোসেন ও একরামুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের নিকট তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফ হোসেন ৩০/০৮/২০১৫ তারিখে ১৯২৫/২ নং স্মারকে কৈফিয়ত তলব করলে ওই শিক্ষকদ্বয় ০৬//০৯/২০১৫ তারিখে তাদের দোষ স্বীকার করে জবাব দাখিল করেন।
আর এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ মোতাবেক বিভাগীয় মামলা রুজুসহ শাস্তির জন্য খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক বরাবর সুপারিশ করেন জেলা প্রাথিমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানান, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। ডিপিও(জেলা প্রাথমিক শিক্ষঅ অফিসার) স্যারের কাছে শোনেন।
উল্লেখ্য ঃ সদর উপজেলার ঘোনা পশ্চিম পাড়া ও তেতুলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটিতে শূন্য পদে গত ৩০ জুলাই ২০০৯ এর পূর্বে কোন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি এবং বিদ্যালয় ২টির মধ্যে একটিতে ২ জন ও অন্যটিতে ১ জন শিক্ষক কর্মরত ছিলেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে