ক্রাইমবার্তা রিপোট:পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় মেয়েকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শ্যামলী বসাক (২৩) নামে এক গৃহবধূ।
শ্যামলী আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বারো আউলিয়া গ্রামের অরুন বসাকের মেয়ে এবং ঠাকুরগাঁওজেলার রুহিয়া ইউপির আসানসোল গ্রামের প্রদীপ কুমার সেনের স্ত্রী। তাদের মেয়ে পবিত্রা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল বলে জানা গেছে।
শ্যামলী স্থানীয় একটি এনজিও পরিচালিত স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে বকুলতলা এলাকায় শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে পবিত্রাকে কোলে নিয়ে ঠাকুরগাঁও থেকে ছেড়ে আসা লোকাল ট্রেনের (উত্তরা) নিচে ঝাঁপ দেয় শ্যামলী। এসময় ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও মেয়ের দেহ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে প্রদীপ কুমারের সঙ্গে শ্যামলীর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এর জেরে শ্যামলী তার বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। কিছুদিন আগে শ্যামলী তার স্বামীর বিরুদ্ধে পঞ্চগড় আদালতে একটি মামলা করেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি রবিউল হাসান সরকার জানান, বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানানো হয়েছে।