রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ/সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আল্লামা সাঈদীকে বন্দী রেখেছে: মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

১৩ মে ২০১৭ – ১৬:৫১ ১৩ মে ২০১৭ –

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম বলেছেন, সরকার দেশকে পরাশ্রয়ী করদরাজ্য বানানোর জন্যই সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন, বিশ^বরেণ্য আলেমে দ্বীন ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ করে রেখেছে। কিন্তু দেশের ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতা আল্লামা সাঈদীর কারা নির্যাতন আর মেনে নেবে না। তিনি জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে অবিলম্বে আল্লামা সাঈদীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

আজ শনিবার রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত জামায়াতের অন্যতম শীর্ষনেতা, প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। দলের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১ নং গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে টেকনিক্যাল মোড়ের দিকে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও মহানগরী সহকারী সেক্রেটারী লস্কর মোঃ তাসলিম ও মাহফুজুর রহমান, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন মোল্লা, দেলাওয়ার হোসাইন, মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য আব্দুল্লাহ মুয়াজ, আনোয়ারুল করিম, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ যোবায়ের, নাসির উদ্দিন, আশরাফুল আলম, আলাউদ্দিন, এম আলম মুকুল, মেজবাহ উদ্দিন নাঈম, এডভোকেট ইব্রাহীম খলিল, ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি জামিল মাহমুদ, পশ্চিমের সভাপতি ডা. মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান, যোবায়ের আহমেদ ও সজিব আহমাদ প্রমুখ।

ড. করিম বলেন, সরকার আল্লামা সাঈদীকে হয়রানী করার জন্যই দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ  করে রেখেছে। জাতীকে নেতৃত্বশুন্য করে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য একের পর এক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে দেশকে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত  করা হয়েছে। আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে বিশাবালীকে হত্যার যে অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে সে হত্যাকা-ের সাথে তাঁর দূরতম কোন সম্পর্ক ছিল না। ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও ফরমায়েসী  অভিযোগে তাকে শাস্তি দেয়ার হীন উদ্দেশ্যেই নিহত বিশাবালীর ভাই সুখরঞ্জন বালীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপহরণ করে গুম করেছে। এ মামলায় বিশাবালী পরিবারের কোন সদস্যের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়নি। মূলত সরকার সাজানো মামলা, ফরমায়েসী সাক্ষী ও দলীয় প্রসিকিউশনের মাধ্যমে একজন বরেণ্য আলেমকে শাস্তি দিয়ে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র ও হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় সাবেক আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলীসহ বরেণ্য জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে সরকার রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের সে ষড়যন্ত্র আর দীর্ঘায়িত হবে দেবে না বরং ঐকবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি সরকারের হত্যা, গুম, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ব্যাংক লুটপাট, শিশু ও নারী নির্যাতন, সম্মানিত আলেম-ওলামাদের উপর নির্যাতন, ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আল্লামা সাঈদীকে বন্দী রেখেছে: মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা, প্রখ্যাত মুফাস্সিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবীতে রাজধানীর মালিবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার যে ষড়যন্ত্র বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুরু করেছে, তার অংশ হিসেবেই আল্লামা সাঈদীকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে তিনি ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে যারাই নির্মূলের ষড়যন্ত্র করেছে, সময়ের পরিক্রমায় তারাই দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

আজ শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর মালিবাগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমান, কামাল হোসাইন, নুরুন্নবী মানিক, মহানগরী শুরা সদস্য ছগির বিন সাঈদ, আমিনুর রহমান, মতিউর রহমান, ঢাকা মহানগরী পূর্ব ছাত্রশিবির সভাপতি ছাত্রনেতা সোহেল রানা মিঠু, পল্টন থানা জামায়াত সেক্রেটারী নূর মোহাম্মদ মন্ডল, মতিঝিল থানা সেক্রেটারী মোতাসিম বিল্লাহ, ছাত্রনেতা হাফিজুর রহমান, সাঈদ মোহাম্মদ জুবায়ের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মিছিলটি মালিবাগ সুপার মার্কেট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খিদমাহ হাসপাতালে সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, অনির্বাচিত সরকার জামায়তের জনপ্রিয়তায় দিশেহারা হয়ে একের এক মিথ্যা অভিযোগ এনে জামায়াত নেতৃবৃন্দদের হত্যার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিশাবালী নামক পিরোজপুরের জনৈক ব্যক্তিকে হত্যার যে অভিযোগে আল্লামা সাঈদীকে  আমৃত্যু কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে সে হত্যাকান্ডের সাথে তার দূরতম সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যেই আল্লামা সাঈদীকে মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি দিয়ে কারাগারে বন্দী রেখেছে। সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে তিনি ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে মুক্তি পাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার, জাল-জালিয়াতি ও ন্যক্কারজনক প্রতারণামূলক মিথ্যা স্বাক্ষীর মাধ্যমে আল্লামা সাঈদীকে কথিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। আপীলেও তিনি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মূলতঃ সাঈদী সাহেবের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। তাকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি তিনি আহবান জানান। অন্যথায় সচেতন জনতা দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে আল্লামা সাঈদীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করবে।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকায় পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী এ্যাড. ড. হেলাল উদ্দিন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সরকার দেশে কুরআনের প্রচার ও প্রসার রোধ করার জন্যই আল্লামা সাঈদীকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। কিন্তু অতীতে যারাই নির্মূলের ষড়যন্ত্র করেছে, সময়ের পরিক্রমায় তারাই দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মোকাররম বিল্লাহ, শুরা সদস্য হাফিজুর রহমান, এম, এ, রহিম, নেছার উদ্দিন, হাসান উল্লাহ, ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি ছাত্রনেতা শফিউল আলম, সেক্রেটারি তোফাজ্জল হোসাইন, জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয় সভাপতি শাহীন প্রধান, যাত্রাবাড়ী থানা পশ্চিম সেক্রেটারী মহসিন উদ্দিন, ওয়ারী থানা সেক্রেটারী আব্দুস সালাম, কদমতলী পূর্ব থানা সেক্রেটারী মনির হোসেন, কদমতলী পশ্চিম থানা সেক্রেটারী মহিউদ্দিন, যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা সেক্রেটারী শাহজাহান খান, ডেমরা থানা সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী, শ্যামপুর থানা সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন, বংশাল থানা সেক্রেটারী গিয়াস উদ্দিন, ছাত্রনেতা মজিবুর রহমান মঞ্জু, কাজী মাসুম, তারিক নাসরুল্লাহ, ইমাম হোসাইন প্রমুখ। মিছিলটি জুরাইন রেল গেট থেকে শুরু হয়ে দয়াগঞ্জ নতুন রাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।

Check Also

বড়দিন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে : মাসুদ করিম

আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শুভ বড়দিন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রয়োজনীয় সকল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।