ক্রাইমবার্তা ডটকম:: প্রায় অক্ষত অবস্থায় পাওয়া একটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম বিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট বিস্ময় ও উৎসাহের সৃষ্টি করেছে।
১১ কোটি বছরের পুরনো এই ফসিল একটি নডোসর প্রজাতির ডাইনোসরের। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন, ‘চতুষ্পদ ট্যাঙ্ক’।
২০১১ সালের ২১ মার্চ কানাডার উত্তর অ্যালবার্টার ফোর্ট ম্যাকমারের কাছে মিলেনিয়াম খনির কাছে এক খনিশ্রমিক এই জীবাশ্ম খুঁজে পান। পরে তা রয়্যাল টাইরেল মিউজিয়ামের পুরাজীবতত্ত্ব বিভাগে দেওয়া হয়। গত ৬ বছর ধরে মিউজিয়ামের বিজ্ঞানীরা ফসিল উদ্ধার করায় নিয়োজিত ছিলেন। প্রায় ৭ হাজার ঘণ্টা পরিশ্রমের পর ফসিলের গবেষণা শেষে তা প্রদর্শনীর কাজে প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।
এই ফসিল নডোসরের নতুন এক প্রজাতির। এই নডোসরটি ক্রেটেশিয়াস যুগের মধ্যবর্তী সময়ে, অর্থাৎ ১১ থেকে ১১ কোটি ২ লাখ বছর আগে জীবিত ছিল। গড়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১৮ ফুট, ওজন প্রায় ১ হাজার ৩০০ কেজি। এর কাঁধের দুই পাশে দুটি ২০ ইঞ্চি লম্বা গজাল ছিল। বর্মধারী এই নডোসরটি ছিল তৃণভোজী। এখনকার পশ্চিম কানাডায় ছিল এর বিচরণক্ষেত্র।
নদীর জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়ে নদীর তলদেশে স্থান পায় ডাইনোসরটির দেহ। কিন্তু এতে জীবাশ্মটি প্রায় সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় রয়ে যায়। এই প্রজাতির ডাইনোসরের এত নিখুঁত জীবাশ্ম আর পাওয়া যায়নি বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
এই জীবাশ্মটির প্রদর্শনী বর্তমানে কানাডার ‘দ্য রয়্যাল টাইরেল মিউজিয়াম’ নতুন প্রদর্শনী ‘গ্রাউন্ডস ফর ডিস্কভারি’র অংশ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন