ক্রাইমবার্তা রিপোট:বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের ড্রাইভার বিল্লালের ৪ দিনের, দেহরক্ষী রহমতের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম লস্কার সোহেল রানা এ রিমান্ড আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি তাদেরকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায়। আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চায়। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে উপরোক্ত আদেশ দেন।
রিমান্ড প্রতিবেদনের আলোকে রাষ্ট্রপক্ষে পিপি আব্দুল্লাহ আবু আদালতে বলেন, মামলার ঘটনার অত্যন্ত স্পর্শকাতর এ মামলায় আজকে যাদেরকে আদালতে হাজির করেছে তারা সাফায়াতের ড্রাইভার বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত। ঘটনার দিন ২ ছাত্রীকে আসামিরা গাড়ি করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখায় এবং ধর্ষণের সময় ভিডিও করে। সেজন্য ভিডিও উদ্ধার ও তাদের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
অপরদিকে আসামী পক্ষে মো: হেমায়তে উদ্দিন মোল্লা আদালতে বলেন, রহমত দুই দিন আগে দেহরক্ষীর চাকরি নিয়েছে। সে ঘটনা জানে না, পরিস্থিতির শিকার। তার মা এ কথা শুনে স্ট্রোক করেছেন। তা ছাড়া ড্রাইভার বেলাল হোসেন এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। সেজন্য রিমান্ড বাতিল করে জামিন দেওয়া হোক।
সোমবার রাজধানীর নবাবপুর রোডের ইব্রাহীম হোটেল থেকে বিল্লালকে গ্রেফতার করে র্যাব। একই দিন গুলশান থেকে মামলার অপর আসমি সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকেও গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার মূল আসামি সাফাত ও তিন নম্বর আসামি সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন।
সোমবার সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমতকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে মামলার মোট পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এজাহারে উল্লেখিত দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফ এখনও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে সাফাতের জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়ে অপরাপর বন্ধুদের সহায়তায় ধর্ষণের শিকার হন ওই দুই তরুণী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুই তরুণী। গত শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাফাতকে ছয় দিন ও সাদমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড প্রদান করেন।
এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ (রহমত)।