ক্রাইমবার্তা রিপোট:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বিগত আট বছরে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল ১৭ মে ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে পালন করা হবে।।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিগ ডাটা ফর বিগ ইমপেক্ট’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন ও প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ডেনসিটি বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সব সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বান্ধব নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন গ্রাহকগণ উন্নত টেলিসেবা পাচ্ছেন। দেশে ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ৪-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু করা হবে। ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণ করা হবে। সম্প্রতি উৎক্ষেপণ করা দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট উদ্যোগের সাথে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের সব উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সব জেলায় ‘জেলা
তথ্য বাতায়ন’ এবং দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করেছি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ দ্রুত ও সহজতর করা হয়েছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসাবাণিজ্য, সামাজিক যোগাযোগসহ প্রতিটি খাতে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বেসরকারি ব্যবসা সম্প্রসারণের ফলে তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে একটি বড় শক্তি। সূত্র: বাসস