কলারোয়ায় লাঙ্গলঝাড়া স্কুলে বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

ক্রাইমবার্তা রিপোট:ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ৮ দলিয় (পুুরুষ) ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার শুভ উদ্ভোধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও লাঙ্গলঝাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাস্টার নূরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে লাঙ্গলঝাড়া 17প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ফুটবল খেলার শুভ সূচনা করেন। এ খেলায় ইউনিয়নের ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র (পুরুষ) অংশ গ্রহন করেন। ৩০ মিনিটের এই ফুটবল খেলার ৪ ম্যাচের প্রথম ম্যাচে রুদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুখোমুুখি হয়ে মাহমুদপুর স্কুল জয়ী হয়। ২য় ম্যাচে লোহাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম তৈলকুপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিদ্বন্দীতা করে লোহাকুড়া স্কুল জয় লাভ করে। খেলার ৩য় ম্যাচে শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হয়ে শাহাপুর স্কুল জয়ী হয়। খেলার ৪র্র্থ ম্যাচে লাঙ্গলঝাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম খাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হয়ে লাঙ্গলঝাড়া স্কুল বিজয়ী হয়। খেলার সেমিফাইনালে অংশ গ্রহন করেন ৪টি দল যথাক্রমে মাহমুদপুর স্কুল বনাম শাহপুর স্কুল, লোহাকুড়া স্কুল বনাম খাসপুুর স্কুল। লোহাকুড়া স্কুল, বনাম মাহমুদপুর স্কুল সেমিফাইনালে জয়ী হয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার একই ভেনুতে ফাইনাল খেলা এবং বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ৮ দলিয় (মহিলা ) ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী মামুুন হোসেন। মঞ্চেুবসে খেলাগুলো উপভোগ করেন ইউপি সদস্য শরিফউদ্দৌলা, শাফিজুল ইসলাম, জমিদাতা শহিদুুল ইসলাম, অবিভাবক সদস্য মাহমুদা খাতুন, বিদ্যুৎসাহী সদস্য রতœা খাতুন, প্রধান শিক্ষকগন কাজী আনারুল ইসলাম, নারান চন্দ্র্র সেলিনা খাতুন, সাজ্জাত হোসেন, ইকবল হোসেন, খালেদা খাতুন, শাহীদা খাতুন প্রমুুখ। খেলাটির সার্র্বিক সহযোগিতা করেন লাঙ্গলঝাড়া স্কুলের দাফতারিক আবুু সাঈদ।

 

কলারোয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের এক লড়াকু সৈনিক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের অবস্থিত যার নিজ বাড়ি লাঙ্গলঝাড়া গ্রামে। লাঙ্গলঝাড়া বাজার থেকে ৩কিলোমিটার পশ্চিমে মাস্টার নূরুল নামে পরিচিত সুন্দর সুদর্শন সু-পুরুষ। উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে নুরুল ইসলাম। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তৃনমৃল পর্যায় থেকে দক্ষতার সহিত পরিচালনা করে বর্তমানে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দলিয় সকল কার্র্যক্রমে নিজে উপস্থিত থেকে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে দলকে সু-সংগঠিত করেছেন। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দলিয় নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে ছুটে যেতেন সব সময়। আর দলিয় কাজ চালিয়ে যাওয়ার তাকে বার বার হত্যার জন্য আক্রমন করে আহত করেছেন ইউনিয়নের নামধারী সন্ত্রাসীরা। কিন্তু থেমে থাকেনি তার কার্যক্রম থেমে নেয় তিনি। ইউনিয়নবাসী সুখে-দুখে পাশে পাওয়া রাজপথের অকুতুভয় সৈনিক ইউনিয়নবাসীর ভালবাসার কাছে হেরে গিয়ে এবং তাদের দাবির কাছে মাথা নত না করে আওয়ামীলীগের দলিয় মনোনয়ন নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু ভাগ্যের কি নিরমম পরিহাস শেষ পর্র্যন্ত সব চেষ্টা ব্যার্থ হয়ে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিগত ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্র্থী হয়ে আনারস প্রতিক নিয়ে লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি নির্বাচন করে দলিয় আওয়ামীলীগ প্রার্থী এম এ কালামকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্র্বাচিত হয়ে ইউনিয়নবাসীর সেবা করার সুযোগ পান মাস্টার নূরুল। লাঙ্গলঝাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ অগনিত প্রতিষ্ঠানে সমাজ সেবা মুলক সকল ক্ষেত্রে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহন করার পর ইউনিয়নে সমাজ সেবার উপর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক কাজ করার জন্য তাকে কয়েকটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা সন্মাননা প্রদান করেন। স্বাধীনতার পর দলটির যখন উত্তান পতনের ইতিহাস ঠিক সেই সময় থেকে শক্ত হাতে দলকে নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন। বিশেষ করে ১৯৯৬ সালের সংসাদ নির্বাচনে ও ২০০১ সালের অক্টোবরে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনিত প্রার্থীর এলাকা থেকে হাজার হাজার কর্মী সমর্থন নিয়ে কলারোয়ায় মিছিল মিটিং এ নেতৃত্বে দিয়েছেন। তাছাড়া ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বার সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালনসহ ২০১২-১৪ সালের বিএনপি জামায়াত জোট যখন দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েঠিলেন। ঠিক সেই সময় কলারোয়াবাসী প্রত্যক্ষ করেছিলো শত শত ভ্যানে, নসিমনে করে আওয়ামীলীগ কর্মীদের নিয়ে কলারোয়া সদরে তিনি মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল। আসন্ন মার্চে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়ে লড়ার ঘোষনা দিয়ে মাঠে পরে থাকায় সেই মুহুত্বে এবার তাকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে নিজ দলের কুচক্রী মহলের সাথে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বে দানকারী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা দেশরতœ বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি এবং আধুনিক বাংলাদেশের রুপকর শেখ হাসিনার আদর্শকে ভুলন্ঠিত করে টাকার বিনিময়ে এলাকার জামায়াত বিএনপি খ্যাত কিছু লোককে আওয়ামীলীগ তার সহযোগি সংগঠনে বসিয়েছেন। এলাকার অগনিত অপরাধ জগতের সাথে যার সম্পৃক্ততা এমন লোক তারা এখন দলীয় নেত্রীর ছবি পোষ্টার ফেস্টুনের ছবির সাথে ছবি টানিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকে কুলোশীত করছে। উল্লেখ আছে যে, বিএনপি জামায়াত থেকে বর্তমান সময়ে কোন লোককে আওয়ামীলীগে যোগদানে নেওয়া যাবেনা। ঠিক সেই সময়ে দলের মধ্যে থেকে আওয়ামীলীগ নামধারী এক শ্রেণীর নেতারা তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে দলিয় স্বার্থকে এভাবে জ্বলাজ্ঞল্বী দিয়েছেন। তাই তাদের শাস্তির অপেক্ষায় এখন দেশবাসি তথা কলারোয়াবাসী অধির আগ্রহভরে অপেক্ষা করছেন।

Check Also

আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।