ক্রাইমবার্তা রিপোট:কেরানীগঞ্জে বাসায় ইলেকট্রিক কাজ করতে গিয়ে মাকে আটকে রেখে অপহরণ করা তিন মাসের শিশু উদ্ধার হয়েছে। আটক করা হয়েছে অপহরণকারী মো. সুমনকে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানানো হয়।
অপরহৃত শিশুর মা রিতু ইসলাম বলেন, মো. সুমন নামের এক টেকনিশিয়ান আমাদের বাসার ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হলে মেরামত করে দিতেন। ১৭ মে সন্ধ্যা সাতটার দিকে দরজায় নক করে তিনি জানতে চান, ভাবি কেমন আছেন? কোনো সমস্যা আছে কিনা? তাকে বাসায় ঢুকে ড্রয়িংরুমে বসতে বলি।
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে একটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিল। আমি আরেকটি কক্ষে তার কাপড় আনতে যাই। এমন সময় হঠাৎ করে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন সুমন। আমার মেয়েকে নিয়ে যান তিনি।’
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের নামাবাড়ী রিভারভিউ সোসাইটির সাততলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তিন মাসের শিশুটি অপহরণ হয়।
শিশুর বাবা-মায়ের ভাষ্য, ১৭ মে মেয়েকে বাসা থেকে অপহরণ করে মো. সুমন। ফুটফুটে মেয়েকে অপহরণ করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। অপহরণের এক ঘণ্টা পর মুঠোফোনে দুই লাখ টাকা দাবি করে ৩১ বছর বয়সী এই যুবক।
র্যাব-১০-এ অভিযোগ করলে কেরানীগঞ্জের গোলামবাজার এলাকার জনৈক হাবিবুল্লাহর বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, মন্দ মান্দাইল এলাকায় একটি বাড়িতে শিশুর পরিববার ভাড়া থাকেন। অভিযুক্ত সুমন তাদের বাসার পাশে একটি ফ্রিজের দোকানে কাজ করে।
র্যাব-১০ কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পের এএসপি মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর অপহরণকারী মোবাইলে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এবিষয়ে শিশুটির বাবা আমাদের কাছে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, অভিযোগটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হয় এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সুমনকে আটক করে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।