প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৭,
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরিফ তমালসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের মামলায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মন্ত্রীর শহরের বাড়ি থেকে তমালকে গ্রেফতার করা হয়।
আর বাকি ১০ জনকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতেই তাদের পাবনা নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরিফ তমাল, যুবলীগকর্মী রূপক, জাহাঙ্গীর, জাফর ইকবাল, রনি, প্রিন্স ইসলাম, মাহবুব ইসলাম, সাবিরুল, মেহেদী হাসান, সামসুল ও মাসুম।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। তিনিই তমালসহ ১১ জনের গ্রেফতার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদীতে যুবলীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে দুটি বাড়ি ও তিনটি দোকানে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি তার বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনায় বাদী হয়ে যুবলীগ সভাপতি তমালসহ ৩২ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে পাবনা আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে গেলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকার সমর্থক আরিফকে একই কাজে যাওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি যুবায়ের বিশ্বাসের কর্মীরা মারধর করে।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাজিবের অনুসারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে দুপুরে শহরের শহীদ আমিনপাড়ায় অবস্থিত যুবায়ের বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালায় ও তার মাকে আহত করে।
এরপর শহরের প্রধান সড়কে অবস্থিত ফুড জংসন ও লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে ভাংচুর করা হয়।
এই দোকান দুটি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর জমিতে অবস্থিত। যুবায়ের এক সময় মিন্টুর দল করতেন।
এছাড়া একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ বিশ্বাসের পৌর সুপার মার্কেটে অবস্থিত দোকান ও কলেজ রোডে অবস্থিত তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
হামলাকারীরা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আসে। তবে তাদের অনেকের মুখ রুমাল দিয়ে বাঁধা ছিল।