প্রমাণিত হল দেশে রাজনীতি নেই: মওদুদ

ক্রাইমবার্তা রিপোট::  বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান চায় মন্তব্য করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আজ দেশে কোনো রাজনীতি নাই। যে রাজনীতি আছে সেটা অপরাজনীতি। যার দৃষ্টান্ত অনেক আগেও দেখেছেন আজ সকালেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশীর মাধ্যমে আবারও দেখা হয়েছে।17
তিনি বলেন, আমরা (বিএনপি) এই যে হীনমন্যতা, ছোট মনের রাজনীতি, স্পর্শ কাতরা এবং প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান চাই। আমরা ২০৩০ ভিশনে উল্লেখ করেছি যে, আমরা বাংলাদেশে নতুন সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনবো। হারিয়ে যাওয়া ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। দেশে এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলবো যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম আরও সুন্দর সমবৃদ্ধ দেশের অধিকারী হতে পারে।
ঘোষিত ভিশন বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিএনপির জেতা প্রয়োজন দাবি করে তিনি বলেন, যদি এদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে। এবং খালেদা জিয়ার মাধ্যমে বিএনপি সেই ২০৩০ বাস্তবায়ন করবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি হল রুমে এক সেমিনার ও গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে‘ ‘বাংলাদেশের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নীতি ও কর্মসূচি’’ শীর্ষক সেমিনার ও গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি টির্চাস।
মওদুদ বলেন, জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচির উপর ভিত্তি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা দলের ২০৩০ ভিশন জাতিকে উপহার দিয়েছেন। এতে জিয়াউর রহমানের চিন্তা, চেতনা ও ধ্যান ধারণা রয়েছে।
ইভিএম পদ্ধতি সর্ম্পকে প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন পর্যন্ত যন্ত্র দিয়ে ভোট গ্রহণের বিষয়ে পরিপক্ষ হয়ে উঠেনি। আমাদের মতো একটি দেশে যারা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের চিন্তা করছে তারা জনগণকে ভোটদানে বঞ্চিত, বিরত রাখতে এই ধরণের কৌশল গ্রহণ করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আগেও বলেছি এখনও বলছি –বিএনপি ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না। বিএনপি স্বচ্ছ ব্যালট পেপার এবং ব্যালট বাক্স ব্যবহার করে নির্বাচন দেখতে চায়। শুধু তাই নয় বিএনপি আগামী দিনে সেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে যেখানে একদলীয় কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে এমন একটি সরকারের অধীনে যে সরকারের কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ থাকবে না। এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি সর্বশক্তি দিয়ে অংশ গ্রহণ করবে।
প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস মিয়া’র সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।

Check Also

ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।