লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত:সাতক্ষীরায় চাহিদা ১৪ মেগাওয়াট সরবরাহ ৬ মেগাওয়াট

প্রকাশিত: রবিবার ২১ মে ২০১৭

  ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:  : খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়া আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। কোন সুখবর নেই বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে। স্থানীয় উৎপাদন এবং ভারত থেকে আমদানি করেও চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। এর একটি বড় অংশ জাতীয় গ্রীডে চলে যাওয়ার কারণেই মূলত এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ব্যাপক লোডশেডিং’র মধ্যে আবারও জরুরি লাইন সংরক্ষণ কাজের জন্য বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে। যা এ অঞ্চলবাসীর কাছে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

ভৈরবে মেঘনা নদীর ওপর ঘোড়াশাল-ইশ্বরদি সঞ্চালন লাইনের রিভার ক্রসিং টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ার কারণে যেমন জাতীয় গ্রীড থেকে চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ আনতে না আনতে পারায় লোডশেডিং হচ্ছে তেমনি জাতীয় গ্রীডে এ অঞ্চল থেকে বিদ্যুৎ নেয়াটাও লোডশেডিংয়ের আর একটি কারণ বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া আগামী মাহে রমযানকে সামনে রেখে খুলনার তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চলছে ওভারহোলিং। এর ফলেও চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। আর খুলনার মূল শহরে লোডশেডিংয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে অফিসিয়ালী বিদ্যুৎ সরবরাহ না করা।

বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমযানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বর্তমানে কিছুটা সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। আর ঠিক এমন সময় প্রচন্ড গরমের কারণে বৈদ্যুতিক চাহিদা বেড়ে গেছে। একদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়া অপরদিকে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং রিভার ক্রসিং টাওয়ার ভেঙ্গে যাওয়া এসব নানা কারণে লোডশেডিং চলছে ভয়াবহ আকারে। খুলনা রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট, ভেড়ামারার একটি এবং ভোলার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্তমানে ওভারহোলিং চলছে উল্লেখ করে ওজোপাডিকোর একটি সূত্র জানায়, আগামী ২৪ মে থেকে এ তিনটি কেন্দ্র চালু হতে পারে। সুতরাং ২৪ মে’র আগে লোডশেডিং কমার সম্ভাবনা নেই বলেও সূত্রটি উল্লেখ করছে।

অবশ্য শুক্রবার পিক আওয়ারে খুলনায় বিদ্যুৎ দেয়ার পরিবর্তে আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে ২৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয়া হয় উল্লেখ করে ওজোপাডিকোর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সূত্রটি জানায়, এজন্য শুক্রবার পিক আওয়ারে পদ্মার এপারের একুশ জেলায় ৪৪৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল। মোট ১৩৩৮.৮ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে গতকাল পিক আওয়ারে সরবরাহ হয় ৯০০ মেগাওয়াট।

পদ্মার এপারের ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শুক্রবার ৭৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, এর বাইরেও ভারত থেকে আনা হয় ৪৮১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। অর্থাৎ ১২২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এ অঞ্চলে সরবরাহের সুযোগ থাকলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কম থাকত। কিন্তু জাতীয় গ্রীডে এ থেকে ৩৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয়ার ফলে লোডশেডিং বেড়ে যায়।

ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শফিক উদ্দিন বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়টি সাময়িকের জন্য। এটি বর্তমানে সারাদেশেই হচ্ছে। কেননা, রমযানকে সামনে রেখে বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র ওভারহোলিং হচ্ছে। আগামী ২/৪ দিনের মধ্যেই সেগুলো সংস্কার হয়ে উৎপাদনে যেতে পারে। ফলে আর লোডশেডিং থাকবে না।

খুলনা বিবিবি-১-এর একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরির জন্য ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি সম্পর্কে ওজোপাডিকো’র এমডি জানান, এটিও সাময়িকের জন্য। লোড পাওয়া গেলে এ সমস্যা থাকবে না।

লোডশেডিংকে অবশ্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা বলে দাবি করেন, ওজোপাডিকো সিবিএ নেতৃবৃন্দ। সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারই হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দেয়। তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্থ হলে খুলনার জনগন মেনে নেবে না। জাতীয় গ্রীড, লোড ডেসপাস সেন্টারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এমনটিও আশা করেন এই শ্রমিক নেতা।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ-জামান বলেন, লোডশেডিং খুলনাঞ্চলেই বেশি। অথচ রাজধানীতে এত লোডশেডিং নেই। এটি এ অঞ্চলের জন্য বরাবরের মত একটি বৈষম্য। তিনি এ বৈষম্যের অবসান দাবি করেন।

ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-ওজোপডিকো’র কন্ট্রোল রুমের সূত্র জানান, শুক্রবার ছুটির দিনে পিকআওয়ারে (রাতে) খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একুশ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৩৪৮ দশমিক ৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা ছিল ৪৮১ মেগাওয়াট। কিন্তু জাতীয় গ্রীডে নেয়া হয় ৩৮০ মেগাওয়াট। ফলে সরবরাহ করা হয় মাত্র ৯শ’ দশমিক ৮ মেগাওয়াট। এতে ঘাটতি দেখা দেয় ৪৪৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে শহর এলাকায় ১১১ মেগাওয়াট এবং এ এলাকায় ঘাটতি ছিল ৩৩৭ দশমিক ৫ মেগাওয়াট। যে কারণে দিনে-রাতে আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত একাধিকবার করে লোডশেডিং করা হচ্ছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।

অপরদিকে, অফপিক আওয়ারে (দিনে) ৮৬৬ দশমিক ৮ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে কোন ঘাটতি ছিলনা। তবে জরুরি লাইন সংরক্ষণ কাজের জন্য শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা (১ম ফেজ ও ২য় ফেজ) রোড নং-১ থেকে ১৪ এবং মজিদ সরণী আংশিক এলাকা, বয়রা ক্রস রোড, গোলদারপাড়া, নবীনগর, বয়রা মেইন রোড, সিঅ্যান্ডবি কলোনী, সাত্তার বিশ্বাস সড়ক, করিমনগর ও এর আশপাশ এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ সররাহ বন্ধ ছিল।

স্থানীয় বেকারি ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে দোকানে রাখা আইসক্রিমগুলো নরম হয়ে যাচ্ছে, ক্রেতারা নরম দেখে ফেরত দিচ্ছে। ঠান্ডা পানি বিক্রি করতেও পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও ঠান্ডা হচ্ছেনা। ফলে ব্যবসায় ধস নামার উপক্রম হয়েছে।

ইজিবাইক চালক মুজাহিদ বলেন, রাতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে গাড়িতে চার্জ হচ্ছেনা। ব্যাটারি চার্জ না হওয়ার কারণে গাড়ি চালানোও সম্ভব হয় না। কিন্তু মালিকের ভাড়া গুণতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসান জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকতা-কর্মচারী অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কারণে লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। কিন্তু প্রতিকারে কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় ৪৯টি মৎস্য হ্যাচারী, ৯৫টি মৎস্য নার্সারী, ১৯টি মৎস্য প্রদর্শনী খামার রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২টি সরকারি গলদা চিংড়ি হ্যাচারী। এসব মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ নির্ভর। বিদ্যুৎ ও বরফ ছাড়া সাদা মাছ ও চিংড়ি হিমায়িতকরণ সম্ভব নয়। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের শিকার হয়ে জেলার মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো অচল হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, সাতক্ষীরা জেলায় ৪টি ছোট বড় হিমাগার রয়েছে। হিমাগারগুলোর মধ্যে বাঁকাল কোল্ড স্টোরেজ, ইটাগাছা সংগ্রাম কোল্ডস্টোরেজ। কাটিয়া কোল্ড স্টোরেজ এবং কলারোয়া কোল্ড স্টোরেজ। লোডশেডিং এর ফলে কোল্ড স্টোরেজগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। লোডশেডিং এর কারণে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের ওপরও।

এদিকে, বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধসহ বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ, আশাশুনিসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাতক্ষীরা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান জানান, সাতক্ষীরায় ওজোপাডিকোর আওতাধীন ৩০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এজন্য চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের প্রয়োজন প্রায় ১৪ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪ থেকে ৬ মেগাওয়াট। ফলে চাহিদা মত বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার যুবরাজ চন্দ্র পাল জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৬টি সাব স্টেশনের আওতাধীন মোট ১৮টি ফিডার রয়েছে। এসব ফিডারের আওতায় এক লাখ ৯ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এই ১৮টি ফিডারে পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৫ মেগওয়াট। অপরদিকে অফ-পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২৫ মেগাওয়াট। সেখানে সরবরাহ রয়েছে মাত্র ১০ থেকে ১২ মেগাওয়াট। ফলে কোন কোন ফিডারে ১২/১৩ ঘন্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবার জন্য বিনা কারণে বৈদ্যুতিক পাখা, ফ্রিজ, বাতি ও আলোকসজ্জা না করার জন্য বিদ্যুৎ অফিস থেকে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

বাতাসে আর্দ্রতা বেশি, গরম থাকতে পারে আরও তিন সপ্তাহ : বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় বাড়ছে ভ্যাপসা গরম। আরো তিন সপ্তাহ থাকতে পারে এমন অবস্থা। পাশাপাশি আগামী ২৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিনই বিক্ষিপ্তভাবে দমকা হাওয়া, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এমন ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভ্যাপসা গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। বাতাস গায়ে লাগলেও শরীরের লোমের গোড়া থাকছে ভেজা। দিন কিংবা রাত সে কোন সময়ে ঘটছে এমনটি। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে দমকা হাওয়া, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু কমছে না ভ্যাপসা গরম।

বেসরকারি বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস টোনা (বিডাব্লিউওটি)’র আবহাওয়াবিদ পারভেজ আহমেদ পলাশ বলেন, গত কয়েকদিন বাতাসে আর্দ্রতার ভাগ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভব করছেন সকলে। সেই সাথে বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ প্রায় প্রতিটি এলাকায় ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ অবস্থা আরও তিন সপ্তাহ থাকতে পারে। দেশে মওসুমি বায়ু প্রবেশ করলে আবহাওয়ার এমন বৈরীভাব কমে যাবে।

 

সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমন ভ্যাপসা গরম আরো কয়েকদিন থাকতে পারে। সেই সাথে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।

Check Also

ডিসেম্বরের ২১ দিনে রেমিট্যান্স এল ২ বিলিয়ন ডলার

চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধ পথে ২০০ কোটি  মার্কিন (২ বিলিয়ন) ডলারের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।