ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অর্নাস ৪র্থ বর্ষের ছাত্র হাফেজ ইসকেন্দার আলীকে মেস থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ মে রাত দুইটার দিকে শহরের আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন হাজী মেস থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সাতক্ষীরা কজলেজের পদার্থ বিদ্যা বিভাগের অর্নাস ৪র্থ বর্ষের মেধাবি ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের। পিতা নুরইসলাম সরদার। সে মাদ্রাসার পাশাপাশি কলেজ পর্যায়ে ও লেখাপড়া করতেন।
সাত দিন অতিবাহিত হলে ও তার কোন খোজ পায়নি পরিবার। ফলে চরম উৎকন্ঠায় পরিবারটি। নিখোজ ইসকেন্দার আলীর ভাই মেরাজ জানান, গত ১৪ মে। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে তার ভাইকে মেস থেকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞত পরিচয়ে। সেখান থেকেতার ভাইকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে গত তিনদিন ধরে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করতে যায় নিখোজ ইসকেন্দার আলীর ভাই মেরাজ সহ পরিবারের কয়েক সদস্য। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে টাল বাহনা করে। আজ রবিবার পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে বিষয়টি জেনে বুঝে অভিযোগ নেয়ার আশ্বান দেন পরিবারটিকে।
হাফেজ ইসকেন্দার আলীর সহপাঠি আরিফ বিল্লাহ জানান, ১৪ মে রাত ১টার দিকে তারা ঘুমাতে যায়। সকালে উঠে দেখে তাদের মেসের রুম গুলাতে বাইরে থেকে তালা দেয়া। ধারণা করছে ঘুমানোর কিছু পর পরই তাকে তুল নিয়ে যাওয়া হয়। হাজী মেসের ১০২ নং রুমে থাকতেন হাফেজ ইসকেন্দার আলী। আরিফ বিল্লাহ থাকতে ১০৪ নং রুমে। আরিফ বিল্লাহ আরো জানান, তার বন্ধু হাফেজ ইসকেন্দার আলী খুব ভাল ছেলে ছিল। সে নিয়মিত নামাজ পড়ত । কুরআন তেলওয়াতের পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামী বই পড়ত। তার মুখে দাড়িও ছিল। তার বন্ধু এবার রমজানে কুরআনের খতম পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল্ল।
সদর থানার কর্তব্যরত ডিউইট অফিসার জানান, অভিযোগটি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাতক্ষীরা সদর থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মারুফ আহমেদ জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।