ক্রাইমবার্তা রিপোট:ময়মনসিংহের ভালুকার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আসামিদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছেন ভোক্তভোগীর পরিবার।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- আলমগীরের বন্ধু তুষার ও মাইক্রোবাসচালক মোখলেছ।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি নগরীর মুসলিম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দক্ষিণ পাশে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ওই কালেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করে আলমগীর ও তার সহযোগীরা।
গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে ও মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। এমনটাই দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
এদিকে ঘটনার পাঁচ মাস পর গত ১৫ মে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মঙ্গলবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
মামলার ৮ দিন পার হলেও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ইতোমধ্যে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভালুকার কাচিনা গ্রামের ওই মেয়ে ময়মনসিংহ নগরীর একটি কলেজে পড়াশুনা করছেন। কলেজে যাওয়া আসার পথে আলমগীর প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে আলমগীর তার বন্ধু তুষার এবং মাইক্রোবাসচালক ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে মাইক্রোবাসেই গণধর্ষণ করা হয় তাকে।
গণধর্ষণ শেষে অজ্ঞান অবস্থায় ওই ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। জ্ঞান ফিরলে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বান্ধবীকে ফোন করলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীর পিতা জানান, ‘এতদিন আমি মান-সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যনসহ বিভিন্ন লোকজন আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকদেরকে হুমকি অব্যাহত রাখায় আমি মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবিরের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তার ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম রকিব বলেন, ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।