ক্রাইমবার্তা রিপোট:শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলেন মো. সালাউদ্দীন (৩২) নামে এক যুবক। কিন্তু স্ত্রী রায়না বেগম স্বামীর বাড়িতে আর ফিরে যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সালাউদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে ছোরা দিয়ে কুপিয়ে শ্যালিকা মনি বেগমকে (১৬) হত্যা করে। আর স্ত্রী রায়না ও শিশু সন্তান মাসুককে আহত করে ঘরের ভেতর গিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর সালাউদ্দীনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী।
নিহত মনি বেগম উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামের মৃত মছলু মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দুই বছর আগে কমলগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দীনের ছেলে মো. সালাউদ্দীনের (৩২) সঙ্গে মৃত মছলু মিয়ার মেয়ে রায়না বেগমের (২২) বিয়ে হয়। তাদের মাছুম মিয়া নামে ৬ মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পারিবারিক কলহে স্ত্রী রায়না বাবার বাড়ি এসে কমলগঞ্জে স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিল না। গত রোববার শ্বশুড় মো. সালাউদ্দীন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে রায়না রাজি হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় সালাউদ্দীন শ্বশুর বাড়িতে রাত্রিযাপন করে মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে যেতে চায়।
রায়না বাড়ি যেতে না চাইলে স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সালাউদ্দীন ছোরা দিয়ে কুপিয়ে শ্যালিকা মনি বেগমকে হত্যা করে। আর স্ত্রী রায়না ও শিশু সন্তান মাসুককে আহত করে ঘরের ভেতর গিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল বাছিত (বাচ্চু) বলেন, খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসী এসে সালাউদ্দীনকে আটকে রাখে। রায়না ও শিশু সন্তান মাসুমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. শামছুদ্দোহা জানান, সালাউদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।