ক্রাইমবার্তা রিপোট:স্টাফ রিপোর্টার,সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আসুন! আসুন! মাথা নষ্ট! মাত্র ৫০ টাকায় পাবেন আকাশ থেকে নেমে আসা এক ঝাঁক ডানাকাটা পরির ঝুমুর ঝুমুর নাচ। যা না দেখলেই মিস করেবেন মামা এসব চটল কথায় মাইকিংয়ে কান ঝালাপালা হচ্ছে কলারোয়া বাসীর। এটি কথিত যাত্রা ও পুটুল নাচের মাইকিং। কলারোয়া উপজেলার রায়টা গ্রামে জাহাজমারী এবি পার্কে যাত্রা ও শামসুরের পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নগ্œ নৃত্য এবং সর্বনাশী মাদক ব্যবসায়ী সেবনকারীদের রাতের আড্ডা। এর আগেও শেষ না হতেই এবার একই জায়গায় চলছে যাত্রা ও পুতুল নাচের নামে প্রকাশ্যে অশ্লীল নৃত্য। ১সপ্তাহ ধরে চলমান এই তথাকথিত যাত্রার নামে প্রকাশ্যে চলা নর্তকীদের খোলামেলা দেহ দেখতে ভিড় জমাচ্ছে ওই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার তরুন যুবক এবং মধ্যবয়সী পুরুষরা। এদিকে যাত্রা স্থালের পাশে জুয়া বোর্ড খেলা চালানোর জন্য আয়োজক কমিটি প্রস্তুতি সম্পন্ন করে জেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে জুয়া খেলার রমরমা ব্যবসা শুরু করার সাধারণ মানুুষের মাঝে আইনশৃঙ্খলা উদ্বেগ বাড়ছে। এদিকে অশ্লীল নগ্œ নৃত্য দেখা বা জুয়া খেলার জন্য এক শ্রেণির মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা প্রতিনিয়ত পার্কে গোপনে মাদক আমদানী করে বাহিয়ের দর্শক ও আয়োজক কমিটির মাঝে বিকিয়ে সেবন করা হয়। যাতে মাদক সেবন করে সারারাত জেগে নিজেরা জুয়া এবং যাত্রা দেখে এক রঙ্গিন দুনিয়ায় যেতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার সচেতন একাধিক ব্যক্তি জানান, গ্রাম বাংলা ঐতিহ্য যাত্রা পালা ও পুতুল নাচের নামে এবি পার্কে যা চলছে, তাতে পরিবার পরিজনের সামনে মুখ দেখানো দায় হয়ে দাড়িয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিকে সামাজিক এবং অন্যদিকে নৈতিকতার চরম অবক্ষয় হবে। মান-সন্মান নিয়ে সমাজে চলাফেরা দায় হয়ে যাবে। সামাজিক পরিবেশ এবং বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এলাকার সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্র বন্ধসহ জুয়া বা লটারির সুযোগ সৃষ্টি না করে দেবার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। অনুসন্ধান করে দেখা যায়, কলারোয়ার দুটি সাংবাদিক ক্লাবকে ৬হাজার টাকায় চুক্তি করে এই মেলা চালানো হয়। যেন তারা মেলার কোন সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করতে না পারে। এছাড়া যুগিখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও এবি পার্কের মালিক আবুল বাসারসহ স্থানীয় কতিপয় নামধারী সাংবাদিকের নেতৃত্বে সরকার দলীয় নেতাদের ছত্র ছায়ায় এবি পার্র্কে চালানো হচ্ছে তথাকথিত আদি রাজমহল অপেরা খুলনার নামে যাত্রা প্রতিষ্ঠান এখানে যাত্রা মঞ্চ তৈরি করেছে। কিন্তু যাত্রার মঞ্চে নামকাওয়াস্তে যাত্রা চলে আর সারারাত চলে অশ্লীল নৃত্য। আর যুুব সমাজকে আকৃষ্ট করে অশ্লীল নৃত্য দেখানোর জন্য দিন থেকে রাত পর্যন্ত মাইকে প্রচার করা হয় রসালো জাতের বচন। আসুন! আসুন! মাথা নষ্ট! মাত্র ৫০/১০০টাকায় পাবেন আকাশ থেকে নেমে আসা এক ঝাঁক ডানাকাটাপরির ঝুমুর ঝুমুর নাচ। যা না দেখলেই মিস করবেন মামারা। এধরনের লোভনীয় প্রচারে সাড়া দিতে যাত্রা মঞ্চে প্রবেশ করার পর যাত্রা কমিটি আবার মাইকে প্রচার করে যা চাইবেন তাই পাবেন। তবে মোবাইলে কেউ ভিডিও করবেন না। তাহলে কমিটির লোক আপনার মোবাইল কেড়ে নিয়ে আপনাকে প্যান্ডেল থেকে বেড় করে দিতে বাধ্য হবে। দর্র্শকদের উপর ভিডিও ধারনে এধরনের ভয় দেখিয়েই শুরু করা হয় অল্পবয়সী যুবতী নারীদের নগ্ন নৃত্য। নগ্ন নৃত্য চলাকালে যে যুবক নর্র্তকীদের গোপন জায়গায় হাত দিয়ে টাকা দেয়, সেই যুবককে মন উজার করে নর্তকীরা সব কিছু সপে দেয়। আবার নগ্ন নৃত্য চলার সময় নর্তকীরা তাদের গায়ে জামা কাপড় খুলে পুরো শরীল উলঙ্গ করে দর্শকদের মনোরঞ্চন দেওয়া হয়। এমন খোলামেলা দেহ দেখতে আর টাকা দিয়ে নর্তকীদের দেহ স্পর্শ করতে দিন দিন সেখানে বিকৃত রুচির দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব দৃর্র্শ্য স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের সামনেই করছেন নর্তকীরা। পুলিশ তাদের নিষেধ না করে উল্ট নর্তকীদের খোলামেলা দেখার জন্য আগ্রহে থাকে। পুুলিশকে দেখে নর্তকীরা যেন স্বগের চাঁদ হাতে পেয়ে উলঙ্গ নাচ করেন। কোন দর্র্শক এমন দৃর্শ্য দেখে প্রতিবাদ করলে পুলিশ সেই দর্শককে ভয় দেখিয়ে মেলা এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। পুলিশ ও নামধারী সাংবাদিকদের সামনে এমন নগ্ন দৃর্শ্য দেখে সাধারণ মানুষও হতাশ প্রকাশ করেন। এতে ক্ষোভ বাড়ছে সুস্থ ধারার সংস্কৃতিমনা মানুষসহ সচেতন মানুুষদের। তাছাড়া রাতে জুয়ার বোর্ডে জুয়া খেলার জন্য বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নামিদামী মটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার নিয়ে পার্ক এলাকার ভিতরে প্রবেশ করেন। পার্র্কের ভিতর নিরাপদ থাকায় সামনে গেট বা টিন দিয়ে আটকানো থাকে যাতে করে কেহ বুঝতে না পারে এমন যানবহন রয়েছে জুয়া খেলতে আসা জুয়ারীদের। এলাকায় মেলা চলায় বেড়ে গেছে রাতে চুরি ছিনতায় আর সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম। দুর এলাকা থেকে আসা দর্শকরা রাতে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রাস্তায় উৎ পেতে থাকে পেশাদার ছিনতায়কারীরা। এবিষয়ে জানতে নাম প্রকাশে পুলিশের এক উর্দ্ধতন কর্র্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আপনি সাংবাদিক আমাকে বলছেন যখন আমি এক্ষুণি থানায় বা ফাঁড়িতে জানাচ্ছি। অশ্লীল নৃত্য বা সমাজ বিরোধী কোন কর্র্মকান্ড চললে আমি কাউকে বরদাস্ত করবোনা না। পুলিশ সদস্যর সামনে জুুয়া বা নগ্ন নৃত্য হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে মেলায় কোন প্রকার অশ্লীল নৃত্য বা জুয়ার আসর না চালানো জন্য। তবে পুলিশের সামনে এমন ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটছে সেই বিয়য়ে তিনি কিছুই বলতে চাননি। এদিকে উপজেলা নিবার্হী অফিসার উত্তম কুমার রায় জানান, আসলে মেলার অনুমতি নেওয়ার সময় আয়োজকরা বলেন সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অথচ অনুমতি পাওয়ার পরে তারা এধরনের কার্যক্রম করেই চলে। আমিও শুনেছি মেলায় যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর বইছে। টাকা দিয়ে জুয়া খেলা বা অশ্লীল নৃত্য করার পারমিশন আয়োজক কমিটিকে দেওয়া হয়নি। আমি আয়োজক কমিটিকে খবর দিয়েছি যদি তারা নগ্ন নৃত্য বা টাকা দিয়ে জুয়া খেলার বোর্র্ড বন্ধ না করে তাহলে সরেজমিনে গিয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
কলারোয়ায় সাংবাদিক ফিরোজ জোয়ার্দ্দারকে সন্মাননা স্মারক প্রদান করেন সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধান
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাংবাদিক ফিরোজ জোয়ার্দ্দারকে সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধানের পক্ষ থেকে সন্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। শনিবার বিকালে ঢাকা তোপখানা সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধানের ৪র্থ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ২০১৬-১৭ বছরের সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধানের প্রকাশিত অনুসন্ধানীমূলক সেরা প্রতিবেদনে সারা বাংলাদেশ থেকে ৩য় স্থান অধিকার করায় তাকে এই সন্মাননা স্মারক প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাননীয় চেয়ারম্যান বিচারপতি জনাব মোহাম্মাদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রফিকুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান (চিত্র নায়ক ফারুক), জাতীয় প্রেস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূইয়া, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও জাতীয় প্রেস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও মফস্বাল সাংবাদিকের পক্ষে মাহমুদুল হাসান (কামারখালী) এবং ফিরোজ জোয়ার্দ্দার (কলারোয়া)। এছাড়া আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পত্রিকাটির নিবার্হী সম্পাদক আক্তার হোসেন, যুগ্ন সম্পাদক ফরহাদ বাঁধন মৌ, সহযোগী সম্পাদক মাজেদুর রহমান রনি, আইন উপদেষ্টা এ্যাড এইচ এম মনিরুজ্জামান, এ্যাড জাকির হোসেন, এ্যাড মোখলেছুর রহমান তোফায়েল, সিনিয়র রিপোর্র্টার ফেরদৌস করিম জিন্নাহ, মামুনুর রশিদ, ব্যুরো প্রধান কামনাশীষ দত্ত পিন্টু (চট্রগ্রাম), সুুমন দাস অভি (বরিশাল), কাউসার মাহমুদ (রাজশাহী) প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে সকল সাংবাদিকগনকে সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধানের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয় এবং রাতে এক মনোঞ্চ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধানের বার্তা সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন।